ঢাকা | সোমবার
৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আরো কাজ করতে হবে

অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে আরো কাজ করতে হবে

বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং ব্যবসায়িকসীমা সংক্রান্ত প্রশ্নগুলোর সমাধানের জন্য একসাথে আরও অনেক কিছু করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।

রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লুর ওয়াটার গার্ডেনে গত শনিবার (২২ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত সুইজারল্যান্ড-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এসবিসিসিআই)র ১১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাশেষে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে।

এসবিসিসিআই এর সদস্যদের টিম সুইজারল্যান্ডের সদস্য হিসাবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পালন করেছে। উভয়ের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত অর্থবছরে এক বিলিয়ন বাণিজ্য হয়েছে দেশ দুটিতে।

সুইস রাষ্ট্রদূত এসবিসিসিআইয়ের প্রতি তার শুভেচ্ছা প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশে সম্ভাব্য ব্যবসায়ের সুযোগ ইত্যাদি সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন।

ডক্টর আফরোজ জলিল বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড এবং এসবিসিসিআই’র সকল সদস্যকে স্বাগত জানিয়ে বৈঠক শুরু করেন। ড. জলিল বর্তমান সংকটময় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা মহামারী-পরবর্তী সময়ে আছি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে, তাই আমাদের অদম্য চরিত্র দেখাতে হবে। তিনি সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গতিশীল করতে চেম্বারের জোরালো প্রচেষ্টা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।

সভাপতির স্বাগত বক্তব্যের পর এসবিসিসিআই’র উপদেষ্টা নকিব খান সংস্থার বিস্ময়কর উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীর কথা স্মরণ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সকল বাধা ও অসুবিধা সত্ত্বেও অদূর ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।

চেম্বারের মহাসচিব সাদ ওমর ফাহিম বার্ষিক কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি চেম্বারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও বলেন। সাদ ২০২২-২০২৪ মেয়াদের জন্য নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি এবং চেম্বার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।
রোচে বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার ড. মোহাম্মদ আফরোজ জলিল, সভাপতি এবং ক্লারিচেম লিমিটেডের পরিচালক সাদ ওমর ফাহিম ২০২২-২০২৪ মেয়াদের জন্য মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন। কুয়েনে প্লাস নাগেলের কান্ট্রি ম্যানেজার তরুণ পাটোয়ারী কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন।

বিনিয়োগকারী গ্রুপ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছে এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুর রশিদ এবং এজেন্ট গ্রুপ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন টুটেলার অয়েল সার্ভিসেস কোং প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক বিদ্যা অমৃত খান।

ইসির বাকি সদস্যরা হলেন আবদুল মতিন চৌধুরী (নিউ এশিয়া লিমিটেডের এমডি), দেবব্রত রায় চৌধুরী (পরিচালক- আইনি, আরএসএ, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এবং কোম্পানি সচিব), জুলিয়ান এ. ওয়েবার। (সিইও, সিকিউর লিঙ্ক সার্ভিসেস বিডি লিমিটেড), ইকবাল চৌধুরী (সিএফও – লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড), হেদায়েত উল্লাহ (ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিনজেনটা বাংলাদেশ লিমিটেড), সাইফুল ইসলাম (চেয়ারম্যান এবং এমডি – ড্যাফোডিল ট্রেডিং লিমিটেড), মোহাম্মদ আবুল হাসনাত (সিইও- হাসনাত এন্টারপ্রাইজ এবং সুইস এলিগেন্স), সন্তোষ চন্দ্র নাথ (এমডি এবং সিইও- আলফা ভিশন লিমিটেড)। এ সময় বিদ্যা অমৃত খান কোষাধ্যক্ষ হিসাবে একটি নতুন ইসি কমিটি ঘোষণার পর ২০২০ এবং ২০২১ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। নিউ এশিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন চৌধুরী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন