ঢাকা | রবিবার
৩রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পায়রা বন্দরের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

পায়রা বন্দরের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার

পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের ও আটটি জাহাজের উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল, ৬-লেন সংযোগ সড়ক এবং সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করবেন তিনি।

সোমবার পায়রা বন্দরের সভাকক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মুহিব, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো: রফিকুল ইসলাম খান, পায়রা বন্দরের সদস্যত্রয় কমডোর মামুনুর রশীদ, কমডোর রাজীব ত্রিপুরা ও ক্যাপ্টেন এম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। দক্ষিণাঞ্চলের অবহেলিত জায়গা তুলে আনা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর নির্মাণ করেন। তাঁর স্বপ্নের প্রকল্পের প্রতিটি জায়গায় তাঁকে সম্পৃক্ত করতে চাই। পায়রা বন্দরকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলে জাগরিত অর্থনীতি দেখতে পাচ্ছি। ইতোমধ্যে এই বন্দরে ২৩৬টি সমুদ্রগামী জাহাজ আগমন করেছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৫৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।

পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দর থেকে সাগরের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০-১২৫ মিটার প্রশস্ত, ১০.৫ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল সৃষ্টি হবে, এতে করে বন্দরে ৪০ হাজার টন কার্গো বা ৩ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়ানোর সক্ষমতা তৈরী হবে। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য ব্যয় হবে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। বিশ্বখ্যাত বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল ড্রেজিং কাজটি করবে।

পায়রা বন্দরের জন্য নির্মিত আটটি জাহাজ দ্বারা পায়রা বন্দর দেশী-বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন-বহির্গমন ও চ্যানেলের সংরক্ষণ কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারবে। আটটি জাহাজের মধ্যে দু’টি পাইলট ভেসেল, দু’টি হেভি ডিউটি স্পীডবোট, একটি বয়া লেইং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট এবং দু’টি টাগবোট।

পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল, ৬-লেন সংযোগ সড়ক এবং সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে টার্মিনালটির তিনটি জেটিতে একত্রে তিনটি বিদেশী কন্টেইনার বা বাল্ক কার্গোবাহী জাহাজ এসে ভিড়তে সক্ষম হবে। বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৫১৬.৭৫ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে অপারেশনাল কাজ শুরু করা হবে।

৬.৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬-লেনের সংযোগ সড়কটি ডিপিপি এর সংস্থান অনুযায়ী ডিপোজিটরি ওয়ার্ক এর আওতায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক স্থানীয় দরপত্র আহবানের মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে নিয়োগ করা হয়েছে এবং কাজের চুক্তি মূল্য ৬৫৫.৫০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কাজটি শেষ হবে। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এর মালামাল পরিবহনের জন্য আন্দারমানিক নদীর উপর ১ হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৪০ কোটি টাকা। কাজটি নির্মাণ করতে আনুমানিক ৩০ মাস সময় লাগবে।

উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা সমুদ্র বন্দর উদ্বোধন করেন।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন