পারিবারিকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবদী দলের (বিএনপি) রাজনীতির সাথে জড়িত। নিজ বড় ভাইদের উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে আছে রাজনৈতিক পোস্টও। এমন অভিযোগ উঠে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।
এছাড়া, ছাত্রলীগের নাম কে ব্যাবহার করে ঢাবি ক্যাম্পাস এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করার অভিযোগও আছে ওই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন অভিযুক্ত মোঃ নূর উদ্দিন।
মোঃ নূর উদ্দিন আহমেদ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র এবং ২০১৭-১৮ সেশনের পপুলেসন্স সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী । তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের অনুসারী। রুবেল হোসেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী।
জানা যায়, নূর উদ্দীনের (অভিযুক্ত) বড়ভাই সোলেমান আহমেদ মানিক বর্তমানে যুবদল করে। এর আগে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন তিনি। তার আরেক আপন ভাই মইনুদ্দিন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা। এরকম তথ্যের অনেক প্রমাণ দৈনিক আনন্দবাজারের কাছে এসেছে।
আরও জানা যায়, তার (নূর উদ্দিন) পরিবারের সবাই শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনে বিএনপি থেকে ধানের শীষের প্রার্থী ও বিএনপি কেন্দ্রী কমিটির সদস্য হাজী মুজিবুর রহমান মুজিবের অনুসারী।
একাধিক সুত্রে জানা যায়, নূর উদ্দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডিএসএলআর ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তুলে জীবিকা নির্বাহ করে; এদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলে। কয়েক দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের স্কুল ছাত্র বিষয়ক উপসম্পাদক এসএম জানে আলম জনির উপর হামলা করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ আছে। এ নিয়ে জানে আলম জনি শাহাবাগ থানায় অভিযোগও করেছেন।
এ বিষয়ে নূর উদ্দীনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ভাইয়েরা রাজনীতি করে না। আমার ভাই সাংবাদিক এ কারণে সবার নিউজ শেয়ার দেয়। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারনে আমার নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
উল্লেখ্য, এর আগে বেশ কয়েকবার অভিযুক্তর নামে শাহবাগ থানায় নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ছিনতাই সহ মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
আনন্দবাজার/কআ