৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে জড়িত দুই কর্মকর্তাকে আজই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনায় গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) দুই প্রকৌশলীকে দায়িত্বে ‘অবহেলার’ অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত আজই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, পিজিসিবির দুই কর্মকর্তার মধ্যে একজন সহকারী প্রকৌশলী এবং অপরজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিতরণ কোম্পানির দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
পিজিসিবির তদন্ত প্রতিবেদন থেকে গ্রিড বিপর্যয়ের প্রথম কারণ হিসেবে ‘দায়িত্বে অবহেলাই’ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ জানতে মূলত তিনটি কমিটি করা হয়েছিল। এরমধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমরা হাতে পেয়েছি। সে অনুযায়ী আপাতত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে আরও দুইটি তদন্ত কমিটি আমরা করেছি। এরমধ্যে একটি বিদ্যুৎ বিভাগের, এছাড়া বাইরের একটি কমিটি আমরা করেছি। তাদের প্রতিবেদন পেতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। সব প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত সবগুলো কারণ বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী সরাসরি বরখাস্ত করা যায়। কিন্তু আমরা তা করবো না। আপাতত সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। বিতরণ কোম্পানিগুলোরও অবহেলা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখান থেকেও আমরা দায়ীদের খুঁজছি। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য ৪ অক্টোবর একযোগে দেশের একটি বড় অংশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতে জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘গ্রিড বিপর্যয়ের পেছনে কারিগরি নয়, মূলত ব্যবস্থাপনা ত্রুটি ছিল। আর এ জন্য দায়ী সঞ্চালন কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
আনন্দবাজার/কআ