যৌতুক না পেয়ে নারায়ণগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়েছেন স্বামী জুলহাস। এসময় ঘটনাটি দৃষ্টিগোছর হলে শীতলক্ষ্যার মাঝি-মাল্লারা বাকপ্রতিবন্ধী ওই গৃহবধূকে জীবিত উদ্ধার করেন।
নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর নাম কাজল রেখা (৩২)।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান ঘটনায় জরিত স্বামী জুলহাস ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ভুক্তভোগীর পরিবারের বরাত দিয়ে জানায়, এর আগেও যৌতুক চেয়ে দফায় দফায় কাজল রেখাকে নিয়মিত শারীরিক নির্যাতন করেছেন তার স্বামী জুলহাস। সর্বশেষ শনিবার রাতে নির্যাতন শেষে রেখাকে হাত-পা বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে বস্তাবন্দি করে শীতলক্ষ্যা নদীর কাঞ্চন এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।
এসময় বিষয়টি দেখতে পেয়ে মাঝিরা এগিয়ে যান। পরে তারা ওই রেখাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। সেখান থেকে তাকে স্থানীয় কেপিএস জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করেন।
কাজল রেখার মা আকলিমা বেগম বলেন, ছয় বছর আগে কাঞ্চন পৌরসভার পিতলগঞ্জ গ্রামের মিম্বর আলীর ছেলে জুলহাসের সঙ্গে পারিবারিকভাবে রেখার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাকে নগদ ১ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র দেওয়া হয়েছিল। তাদের সংসারে জান্নাত নামে চার বছরের একটি মেয়ে আছে। বেশ কিছু দিন যাবত আবারো টাকার জন্য রেখাকে নির্যাতন শুরু করে জুলহাস ও তার পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে এর আগে এলাকায় কয়েক দফা বিচার সালিসও করা হয়েছিল।
ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত স্বামী জুলহাস ও শাশুড়ি সাহেরা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য আসামিদের আটকে অভিযান অভ্যাহত রয়েছে।
আনন্দবাজার/কআ