ঢাকা | বুধবার
১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চোখওঠা রোগের চোখ রাঙানি

চোখওঠা রোগের চোখ রাঙানি
  • রাবিতে দিনে আক্রান্ত ২০

সম্প্রতি বিভিন্ন স্থানে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ রোগকে বলা হয়-কনজাংটিভাইটিস। চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহই চোখ ওঠা রোগ। এই রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত ও ছোঁয়াছে। ঘরে ঘরে রোগটি ছড়িয়ে পড়ায় সরকারি হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভিড় বাড়ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে জনসমাগম এগিয়ে চলার পাশাপাশি অপরিষ্কার হাতে চোখ স্পর্শ না করা। মঙ্গলবার বিকালে কনজাংটিভাইটিস থেকে রক্ষা পাওয়ার পরামর্শ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক ডা. তবিবুর রহমান শেখ।

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দেশ জুড়ে চোখ ওঠার একটা সমস্যা চলছে। যার প্রকোপ রাজশাহীতে একটু বেশি। ফলে প্রতিদিন গড়ে ২০ জন এবং সপ্তাহে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ সমস্যার জন্য চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এ সমস্যা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই রোগ সাধারণত দুই সপ্তাহের মধ্যেই ঠিক হয়ে যায়। তাছাড়া এ রোগে দেহে জটিল কোন প্রভাব পরার সম্ভবনা খুবই কম।

এ রোগ হলে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে ডা. তবিবুর রহমান বলেন, চোখ ওঠে মূলত এলার্জি অথবা ব্যাকটেরিয়ার জারণে। তাই জীবানু অথবা ঘাম যেন চোখে না যায় সেই দিকে সতর্ক থাকা। কেননা রোদ ও ঘাম লাগলে এ সমস্যা বাড়ে। চোখে কালো চশমা ব্যবহার করা। রোদে কম বের হওয়া। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমানোর আগে চোখে পানি দিয়ে ঘষাঘষি না করা। চোখে খচখচে ভাব বোধ করলে ডাক্তারের পরামর্শে যেকোন এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করা।

এ রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকার করণীয় সম্পর্কে এ চিকিৎসক বলেন, জনসমাগম এরিয়ে চলা। অপরিস্কার হাতে বারাবার চোখ স্পর্শ না করা। অন্যের ব্যবহৃত কোন জিনিস ব্যবহার না করা। ক্লাস কিংবা আবাসিক হলে পাশাপাশি অবস্থান করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা। চোখে ব্যথা কিংবা অন্য কোন জটিলতা দেখা দিলে চিকিৎসাকের পরামর্শ নেয়া। এ চিকিৎসক আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীর যদি চোখ লাল হয়, তবে দ্রুত মেডিকেল সেন্টারে এসে যেন ডক্টর দেখায়। কেননা সেন্টারে যথাযথ চিকিৎসা ও পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন