ঢাকা | রবিবার
২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রীয় কারাগারে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত ৫ শতাধিক

কেন্দ্রীয় কারাগারে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত ৫ শতাধিক

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) বন্দি কয়েদি ও হাজতিদের মাঝে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে।

গত ১৫ দিনে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন আনুমানিক পাঁচশতাধিক বন্দি তবে, ইতিমধ্যেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কারা চিকিৎসকরা।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান শুভ সোমবার (১০ অক্টোবর) তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চোখ ওঠা রোগ যেহেতু ছোঁয়াচে, তাই কারাগারে বন্দিদের মাঝে এর প্রাদুর্ভাব হুহু করে বাড়ছে। গত ১৫ দিনে কারাগারে বন্দি আনুমানিক ৫০০ শতাধিক হাজতি- কয়েদি চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের জন্য কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) স্যারের উদ্যোগে পর্যাপ্ত ড্রপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। চোখ ওঠা বন্দিদের কারা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যতটা সম্ভব তাদেরকে ওয়ার্ডে থাকা জন্য বলা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) চক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. চন্দ্র শেখর মজুমদার জানান, দেশে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। এ রোগকে বলে কনজাংটিভাইটিস। চোখের কনজাংটিভা নামক পর্দার প্রদাহই চোখ ওঠা রোগ। এ রোগটি মূলত ভাইরাসজনিত এবং ছোঁয়াচে। সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে চোখ ওঠা রোগ হয়। আবার কখনো কখনো অ্যালার্জির কারণেও এ রোগ হয়ে থাকে।

যে মৌসুমে বাতাসে আদ্রতা বেশি থাকে, সে সময় এ রোগটা বেশি হয়। রোগীর ব্যবহৃত জিনিস অন্যরা ব্যবহার করলে এ রোগ ছড়ায়। সাধারণত সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যেই এই রোগ ভালো হয়ে যায়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে হয়তো ১৫ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। প্রয়োজনে চক্ষু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ড্রপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন