গাজীপুরে ইউরো নীট ওয়্যার লিমিটেডের ইউনিট-২ কারখানায় বহুতল ভবনের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ওই কারখানার দু’টি ফ্লোরে থাকা উৎপাদিত মালামালসহ বিপুল পরিমাণ ফেব্রিক্স ও মেশিনপত্র পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের কর্মীরা ৬ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টায় মহানগরীর গাছা থানাধীন হারিকেন রোডের ওঝারপাড়া মোল্লামার্কেট সংলগ্ন ওই কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে পুরোপুরি নেভাতে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর পর্যন্ত ড্যাম্পিংয়ের কাজ করছিলেন ফয়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
কারখানার ব্যবস্থাপক প্রশাসন ও কমপ্লায়েন্স খান মীরদাদ আলী জানান, ইউরো নীট ওয়্যার লিমিটেডের ইউনিট-২ কারখানায় গার্মেন্টসের নীট কাপড় ও পোশাক তৈরী করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে কারখানার ৬তলা ভবনের ৫ম তলায় ফেব্রিক্সের গোডাউনে অগ্নিকান্ডের সূত্রাপাত হয়। মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কারখানার কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়।
ফায়ার সার্ভিসের জয়দেবপুর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার তাশারফ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের জয়দেবপুর, টঙ্গী, শ্রীপুর ও উত্তরা স্টেশনসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্টেশনের ৮টি ইউনিটের কর্মীরা পর্যায়ক্রমে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ৬ ঘন্টা চেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আনলেও শুক্রবার সকালে ওই ফ্লোরে ড্যাম্পিংয়ের কাজ করছিলেন। এসময় ভবন উত্তপ্ত হওয়ার কারণে উপরের ৬ষ্ঠ তলার কাটিং সেকশনে আগুনের সূত্রাপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দীর্ঘ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে আগুন পুরোপুরি নেভাতে শুক্রবার সন্ধ্যার পর পর্যন্ত ড্যাম্পিং করছিলেন তারা। অগ্নিকান্ডে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায় নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে অগ্নিকান্ডের সূত্রাপাত হয়েছে। তবে তদন্তের পর আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খালিদ হোসেন খান জানান, কারখানায় আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় নি। তবে আগুনে বিপুল পরিমাণ ফেব্রিক্স, তৈরী পোশাক এবং মূল্যবান মেশিনপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে গেছে। এতে অন্ততঃ অর্ধশত কোটি টাকার বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।