ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসা সেবার ফিতে লাগাম

চিকিৎসা সেবার ফিতে লাগাম
  • হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসার মূল্য নির্ধারিত হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সঠিক চিকিৎসার জন্য যাতে সঠিক সেবা মূল্য রাখা হয় তা নিশ্চিতের চেষ্টা করছে সরকার। কারও কাছ থেকে রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসার জন্য যাতে অতিরিক্ত ফি নেওয়া না হয় সে ব্যাপারে কাজ হচ্ছে। ফি নির্ধারণের বিষয়ে বিভিন্ন পক্ষ সরকারের সঙ্গে একমত হয়েছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। গতকাল বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী জানান, প্রাইমারি হেলথকেয়ারে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক, ১০ বেডের হাসপাতালের সুবিধা দিয়ে থাকি। ইউনিয়ন সেন্টারের মাধ্যমে এসব সেবা দেওয়া হয়। এছাড়া কিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামে অনেক চিকিৎসক আছেন যাদের যোগ্যতা নেই, সার্টিফিকেট নেই। তারা অনেক এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করেন। অনেক সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে-ক্লিনিক আছে যারা নিবন্ধিত নয়। তাদের ক্ষেত্রে আমরা কঠোর অবস্থান নিয়েছি। এরকম অনেকগুলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আমরা আরও বন্ধ করবো। গ্রামে যারা যোগ্যতা, সার্টিফিকেট ছাড়াই চিকিৎসা দেয় তাদের চিকিৎসা দিতে দেবো না। এই বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেবো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাইমারি হেলথকেয়ারে জোরদার করার জন্য চিকিৎসা দেওয়ার যে খণ্ড খণ্ড ব্যবস্থা সেটিকে আমরা একত্রিত করার চিন্তা করেছি। একটি জায়গায় এনে আমরা প্রিভেন্টিভ মেজারের দিকে জোর দেব। বিশেষ করে হাইজিনের ওপর আমরা জোর দেব। আমরা একটি প্রাইমারি হেল্থ কেয়ার গাইড তৈরি করেছি। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে আমরা সেই গাইড দিয়ে দেব। সেটি পড়ে তারা জানতে পারবে কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবে। এতে অনেক রোগ থেকে তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারবে।

ডায়াগনস্টিক সেন্টার-ক্লিনিকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের বলেছি যে সেবার মান উন্নয়ন করতে হবে। সেবার মান উন্নয়ন করতে গেলে আমরা ক্যাটাগরি করে দেব। ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’ ক্যাটাগরি করে দেব। ক্যাটাগরি নির্ভর করবে তাদের ব্যবস্থাপনার ওপরে। যে প্রতিষ্ঠান যেসব স্বাস্থ্য সেবার উপযোগী তারা শুধু সেটি দেবে, অন্য কোনও স্বাস্থ্য সেবা দিতে পারবে না। পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতালের বিভিন্ন চার্জ আছে, ফি আছে। সেটি আমরা আলোচনা করে নির্ধারণ করে দেওয়ার চেষ্টায় আছি।

মন্ত্রী বলেন, কোনও হাসপাতালে একটি বিশেষ পরীক্ষার জন্য ১০ হাজার আবার কোথাও ৫০ হাজার নেয়। এই যে বিরাট বৈষম্য এটি আমরা দূর করতে চাচ্ছি। জনগণ যাতে প্রতারিত না হয় আমাদের দরিদ্র জনগণ যাতে কষ্ট না পায় , সঠিক চিকিৎসার জন্য সঠিক মূল্য যাতে দেয় এবং বাড়তি মূল্য যেন না দেওয়া লাগে। আমাদের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে বিদেশে যাওয়ার হার কমে যাবে। বিদেশ চিকিৎসার জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যায়, সেটি আশা করি কমবে। ফি নির্ধারণের বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, খুব দ্রুত আশা করি কাজটি আমরা করতে পারবো।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আহমেদুল কবির প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন