ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাড়ি কিনতে ২২৬ কোটি টাকা চায় পুলিশ

গাড়ি কিনতে ২২৬ কোটি টাকা চায় পুলিশ

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্বপলন ও টহল জোরদার করতে গাড়ি কেনা বাবদ ২২৬ কোটি টাকা চায় বাংলাদেশ পুলিশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষাঙ্গিক আরও বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনার বরাদ্দ চেয়ে এ বিষয়ে চিটি দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ফিন্যান্স অ্যান্ড বাজেট) মো. আতিকুর রহমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি দেন।

উক্ত চিঠিতে নির্বাচনকেন্দ্রীক পরিকল্পনার জন্য ২০২২-২৩ সালের বাজেট বরাদ্দের চেয়ে ১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এতে গাড়ি ছাড়াও অস্ত্র ও গোলাবারুদ, মোটরযান জ্বালানি, গোয়েন্দা, অপারেশনাল ও নিরাপত্তা সামগ্রী চেয়েছে তারা।

বলা হয়, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচনের পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ বাহিনীর যে সকল দাঙ্গা দমন সামগ্রী ও অপারেশনেল সামগ্রী রয়েছে তা নিতান্তই অপ্রতুল।

দাঙ্গা-দমন সামগ্রী ও অপারেশনাল সামগ্রী বাংলাদেশ পুলিশে সংযুক্ত না হলে আগামী নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দুরূহ হবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় দাঙ্গা দমন সামগ্রী ও অপারেশনাল সামগ্রী পুলিশে সংযুক্ত না হলে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে।’

এছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশের জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার জন্য ১৫৮ কোটি ৭ লাখ, নিরাপত্তা সামগ্রী কিনতে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ, তথ্য প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি ১২ কোটি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক ৪৪ লাখ।
এছাড়াও কম্পিউটার সফটওয়্যার কেনার জন্য ৭ কোটি, পেট্রোল, ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট কেনার জন্য ২০৪ কোটি ৮০ লাখ এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম কিনতে ৫৪০ কোটি টাকাসহ মোট ১২২৫ কোটি ৯৯ লাখ ৮৬ হাজার ৬১০ টাকা চেয়েছে।

পুলি্শের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুলিশের ৮০ শতাংশ সদস্য নির্বাচনকেন্দ্রিক দায়িত্ব পালন করেছে। ২০২৩-২৪ এর নির্বাচনেও প্রায় একই সংখ্যক পুলিশ এসব কাজে ব্যস্ত থাকবে তাই আমাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা আগে থেকেই করতে হবে।

আগামী দ্বাদশ নির্বাচনের সময়টাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুবই সংবেদনশীল থাকবে। তাই এই অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এবিষয়ে আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠির ইতিবাচক সাড়া দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন