- ভোগান্তি পোহাচ্ছে যাত্রী-চালকরা
সড়কের গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এতে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, চালক ও পোশাক শ্রমিকসহ অফিসগামীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। শনিবার রাতে ও রবিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় সড়কের ছোটবড় গর্তে পানি জমে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে সকাল থেকে যানজট হলেও এখন আগের চেয়ে একটু স্বাভাবিক হয়েছে যান চলাচল।
ময়মনসিংহের ফুলবারড়য়িার আলম এশিয়া পরিবহনের চালক মাহবুবুর রহমান জানান, কবে যে এ সড়কের দুরবস্থা শেষ হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় গাড়ী চালানো ছেড়ে দেই। তবে, সংসারের কথা চিন্তা করে দুর্ভোগ মেনেই সড়কে গাড়ী চালাতে হচ্ছে।
চেরাগআলী এলাকার বাসিন্দা জয়দেবপুরের বাঘের বাজার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের সহকারী রিলেশন অফিসার খাদিজা আক্তার শ্যামলী বলেন, এখন সকাল ৮টা থেকে অফিস। যেখানে এক ঘণ্টায় অফিসে যাওয়া যায়, সকালে আড়াইঘণ্টা সময় লেগেছে অফিসে পৌঁছতে। এ সড়কের কাজ সময়মতো শেষ না হওয়ায় বৃষ্টি ও সড়কে যানবাহন বিকল হলে মাঝে মাঝে সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বিমানবন্দর এলাকায় সড়কের গর্তে গাড়ি আটকে থাকায় আবদুল্লাহপুর, টঙ্গী, স্টেশন রোড, মিলগেট ও চেরাগআলী কলেজ গেট পর্যন্ত যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। তবে বোর্ড বাজার থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ বলছে সকালের চেয়ে এখন যানজট কিছুটা কম।
যাত্রীরা বলছেন, শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি চলমান থাকায় সড়কের গর্তে পানি জমেছে। এছাড়াও মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় যানজটের লেগে থাকে। স্টেশন রোড থেকে এয়ারপোর্টে পর্যন্ত কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। সাধারণ মানুষ হেঁটে হেঁটে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে। টঙ্গীর মিলগেট থেকে গাজীপুরমুখী এক লেনে ধীরগতিতে গাড়ি চলাচল করলেও অন্য লেন বন্ধ রয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন জানান, ফলে ট্রাফিক চেইন সিস্টেমে ঢাকামূখী সড়কে যানবাহনের ধীর গতি রয়েছেএ ক্ষেত্রে মহাসড়কটির ঢাকামুখী সড়কের যাত্রীরা সাময়িক অসুবিধায় পড়ছেন। জিএমপি ইতিমধ্যে যান চলাচলে কিছুটা স্বাভাবিক করেছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আলামগীর হোসেন জানান, চেরাগআলী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি সড়কে স্থায়ী স্ট্রাকচার নির্মাণ করেনি। নিচে দিয়ে পুরো অংশে ঢালাই করে নাই। ফলে, সড়কের অনেক স্থানে গর্তগুলো এবরোথেবরো অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া ডানবাহন চলাচলের কারণে গর্তে চাকা পড়ে ছোট ছোট গর্ত আরো বড় আকার ধারণ করছে। অপরদিকে, সড়কের পাশে ড্রেনেজে ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় জমে থাকা পানি কোথাও যেতে না পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।