ফসলের ক্ষেতে বন্যহাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির লংগদু উপজেলার কাচালং নদীর পূর্ব পাড়ে বন্যহাতির তাণ্ডবে জনগনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার গভীর রাতে বগাচতর ইউনিয়নের শিাবারেগা ও দক্ষিণ মারিশ্যাচর এলাকার ফসলিজমিসহ বিভিন্ন সবজি বাগান তচনচ করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় হাতি।
দক্ষিণ মারিশ্যাচরের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ঋণ নিয়ে শসার চারা রোপন করেছি। তবে যখন ফল দেওয়া শুরু হলো হাতি এসে গতরাতে সবগুলো শসা খেয়ে ভেঙ্গে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। এক টাকার ফলও বিক্রি করার সুযোগ হয়নি। এমতাবস্থায় আমি চিন্তিত কি ভাবে সংসার চালবে, কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবো। তিনি আরও বলেন, এখানে প্রায় দেড় লাখ টাকা ব্যয় করেছি, যার একটি টাকাও তুলতে পারিনি।
আরেক কৃষক সুফিয়ান বলেন, গতরাতে বন্যহাতি আমার প্রায় দুই লাখ টাকার ফসলাদি নষ্ট করেছে। আমরা প্রতিনিয়ত হাতির জ্বালাতনের শিকার। রাতের আঁধারে এসে ঘর বাড়ি ভাঙচুরসহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছে।
একই রাতে মো. সুফিয়ান, মোহাম্মদ আলী, নুর নবীসহ বেশ কয়েকজনের করলা, চিচিঙ্গা, লাউসহ বিভিন্ন সবজি বাগান ভাঙচুর করেছে বন্যহাতি। এতে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
স্থানীয়রা বলছেন, দুর্গম এলাকায় রাত হলে অন্ধকার, সেই সুযোগে হাতি ইচ্ছামত অত্যাচার করার সুযোগ পায়। আমরা হাতির অত্যাচর থেকে মুক্তি চাই।
৪নং বগাতচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার বলেন, এসব এলাকায় বন্যহাতি সবসময় সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করছে। আমাদের হাতির আক্রমণ থেকে কিছুটা বাঁচার উপায় খুঁজে বের করা দরকার। তবে এলাকাগুলো দুর্গম, এখানে রাত হলেই অন্ধকারে নিঝুম হয়ে যায়। যদি বিদ্যুৎ চলে আসতো তাহলে হয়তো, এ হাতির অত্যাচার থেকে কিছুটা মুক্তি পেতাম। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কৃষিবিভাগ ও প্রশাসনকে সাহায্যের জন্য আবেদন করছি।