ঢাকা | শুক্রবার
২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুনি রাশেদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে

বঙ্গবন্ধু খুনি রাশেদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে

“মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি পলাতক রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে” -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটন ডিসিতে আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখার নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব বলেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিকে ফিরিয়ে আনতে আমরা সবসময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধও করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবাক লাগে ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের আশ্রয় দাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও মানবাধিকারের কথা বলে। খুনিরা এমনকি চার বছরের শিশু ও নারীসহ কাউকেই রেহাই দেয়নি।

তিনি আরও বলেন, গুম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দায়মুক্তির সংস্কৃতির রাজনীতির সামরিক স্বৈরশাসক ও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। কিছু সংস্থা দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছে এবং ভারতীয় দুই নাগরিকের নাম অন্তভুক্তি করে নিখোঁজের একটি তালিকা দিয়েছে। তবে, তাদেরই আবার বিএনপির মিছিলে দখা যায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে কিছু লোক সুবিধা নেওয়ার জন্য প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যা খুশি বলছে’। তিনি তাদের উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত জোটের দ্বারা সংঘটিত অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে বিশ্বকে জানাতে আহবান জানান।

সরকার দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে এবং বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের জন্য পদ্মা সেতু নির্মাণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ এর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চলেছে। দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন। তবে, আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে সফল হয়েছি।

জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও সব ধরনের শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের উচিত বিদেশিদের কাছে দেশের প্রকৃত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা। তাদের মাধ্যমে দেশকে সঠিকভাবে উপস্থাপনের অনেক সুয়োগে রয়েছে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন