ঢাকা | শুক্রবার
২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তোয়াব খান মৃত্যুতে এমডব্লিউইআরের শোক

তোয়াব খান মৃত্যুতে এমডব্লিউইআরের শোক

দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক, একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।

একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস-এমডব্লিউইআর।

শনিবার সংগঠনটির আহ্বায়ক ফারুক আহমাদ আরিফ ও যুগ্ম-আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট এনায়েতুল্লা কৌশিক গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শোক ও সমবেদনা জানান। এ সময় তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থতার পর তোয়াব খানকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তোয়াব খান ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তোয়াব খান। সাংবাদিক হিসেবে সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবন রয়েছে তার। ২০১৬ সালে একুশে পদক পান। একই বছর তাকে সম্মানীত ফেলো নির্বাচন করে বাংলা একাডেমি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন তোয়াব খান। পরে রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। সে সময় তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচার হয় ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান।

১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন তোয়াব খান।

দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অফ বাংলাদেশের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন যশস্বী এ সাংবাদিক। নিউজবাংলা ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে যোগ দেয়ার আগে সবশেষ তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন