ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশকে কামড় দিয়ে হ্যান্ডকাফসহ পালালো হোসেন বয়াতি

পুলিশকে কামড় দিয়ে হ্যান্ডকাফসহ পালালো হোসেন বয়াতি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুলিশ সদস্যের হাতে কামড় দিয়ে হ্যান্ডকাফসহ মাদক মামলার আসামি ইসমাইল হোসেন বয়াতি (৪৫)-কে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আসামীর পরিবার।

বুধবার বিকেল সোয়া ৪টায় উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জামাইয়ের টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আসামির নারী স্বজনেরা পুলিশের ওপরও হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

কামড়ে আহত কোম্পানীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. রবিউল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাদক কারবারি বয়াতি পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। তবে, দীর্ঘ তিন বছর যাবত রিকশা চালানো ছেড়ে দিয়ে বসুরহাট পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডে এক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার আশ্রয়ে মাদকের কারবার করে আসছিলেন।

বুধবার দুপুরে মাদক বিক্রি হচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে এএসআই রবিউলের নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন একদল পুলিশ সদস্য। অভিযানে গাঁজাসহ বয়াতিকে গ্রেফতারও করেন।

ঘটনার পরে বয়াতিকে ছাড়িয়ে নিতে তার পরিবারের কয়েকজন নারী ও পুরুষ সেখানে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে আসামিকে নিয়ে পুলিশ সদস্যরা থানায় যেতে উদ্যত হলে ঘটনাস্থলে এক নারী পুলিশ সদস্যের হাতে কামড় দিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সদস্যরা।

রবিউল বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা ৪-৫জন পুলিশ সদস্য ছিলাম। আসামীর আক্রমণকারী আত্মীয় নারী হওয়ায় আমরা কিছু করতে পারিনি।

পরে কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি বয়াতির মামা মোশারেফ (১৯), সৌরভ (২৪), মামাতো ভাই কালা (১৯) ও প্রতিবেশী ইমন (২৪) নামের কয়েকজনকে আটক করা হয়। কয়েক দফা চেষ্টার পরও বয়াতি ও তার পরিবারের কারো খোঁজ পায়নি পুলিশ।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো.সাদেকুর রহমান জানান, বয়াতী এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্দে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য অব্যাহত অভিযান চলছে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন