ফরিদগঞ্জে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ ডিলারের বিরুদ্ধে। ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলে মিলছে ২২ কেজি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ কেজির দাম নিয়ে গ্রাহকদের ২২ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সকলের অগোচরে চলছে এ প্রতারণা।
সরাকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায়, খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্পমূল্যের ১৫ টাকা কেজি চালের প্রতি কার্ডধারিকে ৩০ কেজি চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এখানে ডিলার দীর্ঘদিন ধরে ওজনে কম দিচ্ছেন। চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে এ প্রতারণা করছেন সংশ্লিষ্ট ডিলার।
সরেজমিনে বুধবার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করছেন। চাল বিতরণ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা বিষয়টি দেখতে কয়েকজন সংবাদকর্মী ডিলারের দোকানে প্রবেশের পূর্বেই দেখতে পান সেলিম নামে এক ব্যক্তি চাল নিয়ে যাচ্ছেন। সংবাদকর্মীরা চালের পরিমাণ কম অনুভব করায় তাৎক্ষণিক সেলিমকে চাল ওজন করার জন্য বললে তিনি পার্শ্ববর্তী মোর্শেদ আলমের হার্ডওয়্যার দোকানে চাল ওজন করে দেখেন ওই বস্তায় ২২ কেজি ৩৩০ গ্রাম চাল রয়েছে। সঙ্গে-সঙ্গেই ওই চালের বস্তা নিয়ে ভুক্তভোগী সেলিম ডিলারের দোকানে নিয়ে ট্যাগ অফিসার এবং সংবাদকর্মীদের সামনেই চাল কম দেওয়ার অভিযোগ জানান। তবে ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম তার চালের বস্তা ও কার্ড চিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ও সেলিমের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে এবং তার কার্ড বাতিলের হুমকি দেয়।
এসময় সংবাদ কর্মীরা চাল ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমবায় অফিসার নাজমুন নাহারকে জানালেও সঠিক জবাব মেলেনি। পাশাপাশি চালের বস্তাসহ চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও বস্তা খুলে রেখে, অন্য বস্তায় চাল দিচ্ছে ডিলার।
অভিযোগের বিষয়ে ডিলার খোরশেদ আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা খাদ্য গুদাম থেকে যেভাবে চাল পাই সে ভাবে বিক্রি করছি। আপনাদের কোনো কথা থাকলে খাদ্য অফিসের সঙ্গে কথা বলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আফসার উদ্দিন ও ওসি এলএসডি ইমতিয়াজ বুলবুল সাকি বলেন, ডিলারদের আমরা সঠিক নিয়মেই চাল পাঠিয়েছি। অভিযোগটি ক্ষতিয়ে দেখে খুব শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমুন নেছা বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি। অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক কামরুল হাছান বলেন, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি নিয়ে অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বলেছি।