দীর্ঘদিন ধরে লিভার টিউমারে আক্রান্ত রুবি আকতার (৪৫)। রুবিকে বাঁচাতে তাই লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হবে। কোনো ডোনার খুঁজে না পাওয়ায় তাই নিজের লিভারের ৩০ শতাংশ দিচ্ছেন তারই ছেলে ডা. মাসুদুল করিম।
ডা. মাসুদুল করিম ময়নামতি মেডিকেল কলেজ থেকে সম্প্রতি এমবিবিএস পাস করেছেন।
ফটিকছড়ি কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মাসুদুল বলেন, ৬-৭ মাস আগে মায়ের লিভারে টিউমার ধরা পড়ে।
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা জরুরী হয়ে পড়লে তখন আমরা ডোনার খোঁজতে থাকি। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কোনো ডোনার খুঁজে পাইনি। আমার সঙ্গে মায়ের সবকিছু মিলে যাওয়ায় নিজের ৩০ শতাংশ লিভার মাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে, তারপর ট্রান্সপ্লান্ট করানো হবে।
ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আজহারুল ইসলামের ছেলে মাসুদুল। তার বাবাও ক্যানসারে আক্রান্ত। আজহারুল ও রুবি আক্তারের দুই ছেলে, এক মেয়ে। সবার বড় মাসুদুল করিম।
এবছর শুরুতেই রুবি আকতারের লিভারে টিউমার ধরা পড়ে। তাকে নিয়ে ঢাকা পিজি হাসপাতাল ও ভারতের কয়েকজন লিভার বিশেষজ্ঞের বোর্ড বসে চিকিৎসার ব্যাপারে আলোচনা চলে। তারা রুবি আকতারের লিভারে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই প্রেক্ষিতে প্রথমে ভারতের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়।
চিকিৎসা করতে গিয়ে ডাক্তাররা দেখতে পান রুবি আকতারের লিভারে আরও একটি টিউমার রয়েছে। সেটি অপসারণ করতে গেলে রোগীর জীবন সংকটাপন্ন হয়ে যেতে পারে।
ডাক্তাররা দ্বিতীয় টিউমারটি অপসারণ না করে বিকল্প লিভার খোঁজার ব্যাপারে পরামর্শ দেন।
চিকিৎসকদের পরামর্শে ২০ সেপ্টেম্বর আবারো মাকে নিয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে গেছেন মাসুদুল করিম।
জানা গেছে এবার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট অপারেশনে মা’কে নিজের ৩০ শতাংশ লিভার দিবেন তারই ছেলে ডা. মাসুদুল করিম।
আনন্দবাজার/কআ