ঢাকা | সোমবার
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বমানের পর্যটনস্থান হবে বাংলাদেশ

বিশ্বমানের পর্যটনস্থান হবে বাংলাদেশ

আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের, নির্বাহী পরিচালক, পর্যটন বোর্ড

 ‘পর্যটনশিল্পের বিকাশে মাস্টারপ্লানে কমিটি গঠন হয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজার ৫১ স্থান চিহ্নিত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধশত স্থান নিয়ে বিশেষ স্পট করা হবে’।

বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতে পর্যটনস্থান রয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও পরিচর্যা করে এগুলোতে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। এসব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের বিশেষ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় গত ২০ সেপ্টেম্বর।

পর্যটন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে অসংখ্য পর্যটনস্থান রয়েছে। এগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করে মাস্টারপ্লানটি তৈরি করা হচ্ছে। তাতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হবে। বিদেশি পর্যটক আসবেন। এখাতে কর্মসংস্থান বাড়বে। জিডিপিতে পর্যটনের অবদান বাড়বে। ইতোমধ্যে জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২ এর খসড়ায় শতাধিক পর্যটনস্থান তালিকাভুক্ত হয়েছে।

আনন্দবাজার: দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশে কী ধরনের কর্মপরিকল্পনা ও দিকনির্দেশনা নিয়ে কাজ করছেন?

আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের: পর্যটনশিল্পের বিকাশে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ এর ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে একটি মহাপরিকল্পনা (মাস্টারপ্লান) করতে কমিটি গঠন করা হয়। শর্তানুযায়ী মহাপরিকল্পনাকারীদের প্রতিটি পর্যটন স্থানে গিয়ে সশরীরে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করা। কমিটি কাজ শুরু করলে কয়েক দফা করোনার কারণে কাজে কিছুটা ভাটা পরেছে। তবে বর্তমানে কাজ শুরু হয়েছে আশা করা যায় আগামী ডিসেম্বরে তা শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যে ১০৫১টি স্থান (ডেসটিনেশন) চিহ্নিত করা হয়েছে। তারমধ্যে ৫০টি স্থান নিয়ে বিশেষ কিছু কাজ করা হবে। অর্থাৎ আর্কিটেকচারাল প্লান, স্ট্রাকচারাল প্লান, একটি ইনভেস্টমেন্ট ও মার্কেটিং প্লান তৈরি করবো। সেখানে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কাজ করবো। ৫০টি পর্যটন স্থানকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলা হবে। সেজন্য রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সবকিছু তৈরি করা হবে। প্রয়োজনে স্থানগুলোর সংস্কারও করা হবে। মাস্টারপ্লানের সঙ্গে সঙ্গে একশন প্লান করা হবে। যাতে কোনটি দ্রুত  সময়ে, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে শেষ করা যায় তা নিয়ে কাজ করা হবে।

আনন্দবাজার: বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশে কী ধরনের কার্যক্রম নিয়েছেন?

আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের: বহির্বিশ্বে বিউটিফুল বাংলাদেশ নামে আমরা ব্র্যান্ডিং করছিলাম। কিন্তু পৃথিবীর সব দেশই নিজেদের বিউটিফুল বলে বিশ্বাস করে থাকে। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে একটি বিশেষ কমিটির পরামর্শের আলোকে ‘মুজিব’স বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ড নামে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যটন আকৃষ্ট করতে প্রচার চালানো হচ্ছে। কেননা স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমান অবধি বাংলাদেশকে মুজিবের দেশ বলেই চিনে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস, মিশন ও কনসাল জেনারেল অফিস নানা ধরনের অনুষ্ঠানে এসব টিভিসি ও ডকুমেন্টারি প্রচার করে চলছে। এতে বেশ সাড়াও পড়ছে।

আনন্দবাজার: মুজিব’স বাংলাদেশ কেমন সাড়া পেলেন?

আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের: আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদেশে পর্যটনস্থানগুলোর প্রচার। এখন দেশের দিকেও মনোযোগ দিচ্ছি। এজন্য দেশের ৮টি বিভাগে কর্মশালা করার পরিকল্পনা নিয়ে বরিশাল ও রাজশাহীতে হয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর চট্টগ্রামে ও নভেম্বর পর্যন্ত সবগুলো বিভাগে কর্মশালা করা হয়ে যাবে। তাছাড়া ৫০টি জেলায় কর্মশালা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৪৭টিতে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী উপস্থিত ছিলেন। ৪৫টি উপজেলাতেও কর্মশালা করা হয়েছে। এখানে মূল লক্ষ্য ছিল গ্রামীণপর্যটন। এসব উপজেলার মধ্যে কয়েকটিকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে নাটোরের আত্রাই উপজেলা। সেখানে ভারতের মহান ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধী, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেখানে গিয়েছেন। এমন স্থান খুবই কম যেখানে এতোজন বিশিষ্ট ব্যক্তি গেছেন। সেই উপজেলাকে মনযোগ দেয়া হচ্ছে যাতে সেখানে মানুষ যায়। এটি গ্রামীণ পর্যটনকে বিকশিত করার একটি পদক্ষেপ। 

আনন্দবাজার: আমাদের পর্যটনস্থানে বাহির থেকে অর্থায়ন হয়। স্থানীয় লোকদের গুরুত্ব দেয়া হয় না ফলে সেসব স্থানের মানুষ এসব থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এক্ষেত্রে আপনাদের কার্যক্রম কী?

আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের: ৪৫টি উপজেলায় যেখানে কর্মশালা করা হয়েছে তাদের কাছে পরিকল্পনা চাওয়া হয়েছে। এসব কাজ কে কে করবেন ও কী করতে হবে। সেক্ষেত্রে সেখানে কিছু কাজ পর্যটন করপোরেশন, কিছু জেলা, উপজেলা ও কিছু ইউনিয়ন পর্যায় থেকে করা হবে। অর্থাৎ সবাইকে নিয়ে কাজ করা হবে।

আনন্দবাজার: স্থানীয়দের গুরুত্ব না দিলে পর্যটনস্থানগুলো নষ্ট করা হয়ে থাকে। যেমন কক্সবাজার বা অন্যান্য স্থান নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিনিয়োগে কোনো কার্যক্রম আছে?

আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের: হ্যাঁ, আমরা কক্সবাজারকে নষ্ট করে ফেলেছি। সেন্টমার্টিন দ্বীপের অস্তিত্ব এখই হুমকির মুখে। আমরা কমিউনিটি বেইজড পর্যটনব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছি। মৌলবীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভাংবিলে ২০টি পরিবারকে কমিউনিটি বেইজড পর্যটনব্যবস্থায় গড়ে তোলা হচ্ছে। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর সেখানে ১৫০ জন বিদেশি পর্যটক আসবে। শুধু ভারত থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার পর্যটক আসার কথা। এসব লোকদের আর্থিক অবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। তাদের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। বিদেশি পর্যটক আসছে, থাকছে ও খাচ্ছে। এই কমিউনিটি বেইজড পর্যটনব্যবস্থা বিশেষ করে যেসবস্থানে নৃ-গোষ্ঠী আছে তাদেরকে ঘিরে এই ব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে। তেঁতুলিয়া, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে কিছু কাজ করা হয়েছে। এখন শেরপুর জেলা ও নেত্রকোনার বিরিসিরিতে গারো সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও পর্যটন নিয়ে। খুলনার কয়রা উপজেলার বেতকাশিতে মুন্ডা সম্প্রদায়ের পর্যটন নিয়ে। সেখানে পর্যটকরা যাবে, তাদের এখানে থাকবে, খাবে ও তাদের ছেলেমেয়েরা পর্যটকদের স্থানগুলো দেখাবে। পর্যটনের জন্য প্রয়োজন পর্যটন মনোভাব ও পরিবেশ। সেটি তৈরি করতেও কাজ করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের সংগঠন ইউএন ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা হয়েছে। এ বছর আরো ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা হবে। তাদের কাজ হবে পর্যটন এলাকাগুলোতে প্রচার চালানো। পর্যটকদের সঙ্গে কি ধরনের ব্যবহার করতে হবে এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। মন্ত্রিপরিষদকে জানানো হয়েছিল জেলাগুলোতে পর্যটন অফিস নেই। এক্ষেত্রে পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন প্রতিটি জেলায় এডিসি ও জেলা কমিশনারের নেতৃত্বে একটি করে পর্যটন সেল গঠন কর হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের জেলা সেলের সঙ্গে পরিচয় ও সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার: বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রতিবন্ধকতা কী কী?

আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের: বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের কাজ হচ্ছে নীতিমালা তৈরি করা। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করা। এখানে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো কাজ করে তা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রচার। যেমন ২০১৬ সালে ঢাকায় হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলার প্রচার। এটির কারণে অনেক দেশ আমাদের রেড অ্যালার্ট দিয়েছে। সেটির বর্ষপূর্তিতে ফুটেজ দেখানো হয় যা বিদেশিদের মনে আবার নতুন করে চিন্তার জায়গা তৈরি করে। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে ঢুকে সন্ত্রাসীরা শিশু শিক্ষার্থীদের গুলি করে হত্যা করছে সেখানকার গণমাধ্যম তা সেভাবে ফুটেজ দেখাচ্ছে না।

আনন্দবাজার: বিদেশে বাংলাদেশের প্রচুর শিক্ষার্থী ও প্রবাসীশ্রমিক রয়েছে। তারা দেশের পর্যটনশিল্পের বিকাশে কী ধরনের কার্যক্রম বা সহযোগিতা করতে পারে?

আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের: বিদেশে বাংলাদেশের পরিচিতি তুলে ধরতে পারে। তাছাড়া যেসব দেশে বাঙালিরা নাগরিকত্ব পেয়ে পরিবার নিয়ে থাকে তাদের সন্তানদের দেশের এসব স্থান ঘুরিয়ে দেখিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া বিদেশে বাংলাদেশিরা যেসব গণমাধ্যম পরিচালনা করছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রচার-প্রসারে কাজ করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার: মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপিতে দেশের পর্যটনখাতের অবদান ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। অর্থাৎ স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৬ হাজার ৬৯০ কোটি টাকার বেশি। এইখাত কর্মসংস্থানে সুযোগ তৈরি করছে ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশের। আপনারা এইখাত নিয়ে নতুন কী চিন্তা করছেন জিডিপি ও কর্মসংস্থান বিষয়ে?

আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের: আমরা একটি পরিকল্পনা নিয়েছি ২০৩০ সাল পর্যন্ত ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি সেক্টরে কত মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে তা নিয়ে সমীক্ষা করা। যখন এটি শুরু করি তখন আমাদের বিষয় ছিল হোটেল- মোটেল, রিসোট, ট্যুর অপারেশন, ট্যুর গাইড, ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি। অতি সম্প্রতি আমরা পর্যটনশিল্প আসলে কী এ নিয়ে স্টাডি করে ১২টি খাতের অধীনে শতাধিক বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে শিল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখানে ২০২২ সালের জাতীয় শিল্পনীতির খসড়ায় শতাধিক বিষয়কে তালিকাভুক্ত করে তাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে রেখেছে। সেখানে ১০টি অগ্রাধিকারমূলকখাতকে চিহ্নিত করেছে তারমধ্যে পর্যটনশিল্প তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ৩৪টি সেবাখাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে সেখানে পর্যটন ১০তম। এখানে উদ্যোক্তাসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। জরিপে যে কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে তা শুধু ঐ ৫-৬টি বিষয় রয়েছে। আমার মনে হয় এখানে প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। এখন অনেক বিষয় বেড়ে গেছে। আর পর্যটনখাতে প্রকৃত আয় কত হয় তার হিসেব পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৬ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার বৈদেশিক টাকা আয় হয়েছে। এটি শুধু ব্যাংকিং চ্যানেলে আসা টাকার হিসেব। অনেক ট্যুর এজেন্সি নিজেরা লোক নিয়ে আসে তারা বাইরে ডলার ভাঙ্গিয়ে ব্যয় করেন সেই হিসেব এখানে অন্তর্ভুক্ত নয়।

আমরা যা পাচ্ছি তা হচ্ছে খণ্ডিত চিত্র। পর্যটন বিষয়ে মাস্টারপ্লানটি তৈরি হয়ে গেলে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক-মানের পর্যটন আকর্ষণে পরিণত করার চেষ্টা করা হবে। এখানে বিদেশি পর্যটক আসবে। তাতে জিডিপিতে পর্যটনের অবদান বাড়বে। তবে জিডিপিতে পর্যটনের অবদান কত তার সঠিকভাবে নিরুপণ করা প্রয়োজন। আমরা চাই প্রতিটিখাত ধরে হিসেব বের করা হোক। তাতে করে সঠিক হিসেবটি পাওয়া যাবে।

আনন্দবাজার: আপনাকে ধন্যবাদ।

জাবের: আপনাদের প্রতিও শুভকামনা

সংবাদটি শেয়ার করুন