ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পর্যটকদের আকর্ষণ এশিয়া

পর্যটকদের আকর্ষণ এশিয়া
  • কোন দেশে কত আয়

বর্তমানে পৃথিবীতে ৭৫০ কোটি মানুষের মধ্যে পর্যটকদের সংখ্যা ১০০ কোটির ওপরে। এই একশত কোটি পর্যটকদের মধ্যে ৫০ শতাংশই বেছে নিচ্ছেন ইউরোপকে। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভিড়ছে মাত্র ২০ শতাংশ। বাকিরা অন্যান্য মহাদেশে পা দিচ্ছে।

ইতিপূর্বে বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ২০২০ সাল থেকে বিশ্বে প্রতিবছরে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের কথা ভেবেছিল। আর জীবন-জীবিকার সুযোগও সৃষ্টি করবে বিশ্বের ১০০ মিলিয়ন মানুষের তবে সেটি থমকে যায় মহামারি করোনায়।

পর্যটনের বিশ্ববাজারকে কব্জা করতে ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, চীন, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ পর্যটনের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে। আর মালেশিয়ার জাতীয় অর্থনীতিতে বছরে পর্যটনশিল্পই অবদান রাখছে প্রায় ২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে ২৮.৮ মিলিয়ন পর্যটককে আকর্ষণের লক্ষ্য নেয় থাইল্যান্ড। নেপালের জাতীয় আয়ের ৪০ শতাংশ উৎস হচ্ছে পর্যটনখাত।

বিশ্ব ভ্রমণ ও পর্যটন কাউন্সিলের সমীক্ষা মতে, ২০১৩ সালে মোট দেশজ আয়-জিডিপিতে পর্যটনশিল্পের অবদান সিংঙ্গাপুরে ৭৫ শতাংশ, তাইওয়ান, হংকং, ফিলিপাইন ৫০ শতাংশের বেশি। মালদ্বীপের প্রায় পুরোটা, ইন্দোনেশিয়া ও মেক্সিকোর মোট রপ্তানি আয়ের ৭০ শতাংশই পর্যটনে।

পর্যটনে বাংলাদেশের আয় কত: উন্নয়নশীল দেশগুলোর এক-তৃতীয়াংশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস পর্যটনশিল্প। বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রাক্কলন অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রায় ১০০ মিলিয়নের বেশি মানুষ জীবন-জীবিকার জন্য শিল্পটির ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বে ২০২০ সাল নাগাদ পর্যটন থেকে প্রতিবছর দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছিল। যদিও করোনার কারণে বিশ্বের অন্যান্যখাতে সঙ্গে পর্যটনেও নেমে আসে মন্দা।

একটি পরিসংখ্যান মতে, ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পর্যটনশিল্পের মাধ্যমে সরকারের বৈদেশিক আয় হয়েছে চার হাজার ১৭৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের মধ্যে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা আনুমানিক ১০ লাখে উন্নীতকরণের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন