সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি অধিক জায়গা দখল করে কম সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করে। এতে সৃষ্টি হয় যানজট। যেখানে ব্যক্তিগত গাড়ি এক শতাংশ জায়গা নিয়ে যাত্রী বহন করে মাত্র ২ দশমিক ২০ জন ঠিক একই সময় একটি বাস ২ শতাংশ জায়গা নিয়ে যাত্রী বহন করে ৪৪ দশমিক ২০ জন।
বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস ২০২২ পালন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত এক র্যালিটি শেষে বক্তারা এসব কথা জানান।
‘জ্বালানি ব্যবহার ও যানজট নিয়ন্ত্রণ করি, ব্যক্তিগত গাড়ি সীমিত রাখি’ শীর্ষক র্যালিটি ধানমন্ডি ২৭ এর মোড় থেকে শুরু হয়ে আবাহনী খেলার মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল একত্রিত হয়ে এ আয়োজন করে। এতে অংশগ্রহন করে, রায়ের বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুল, ধানমন্ডি কচিকন্ঠ হাই স্কুল, আলী হোসেন বালিকা বিদ্যালয়, ছায়াতল বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিইং বাংলাদেশ, কারফ্রি সিটিস এলায়েন্স বাংলাদেশ এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ।
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে হাঁটা, সাইকেল ও গণপরিবহন ব্যবস্থাকে প্রাধান্য দেওয়ার ওপর জোর দেন বক্তারা। শহরের যানজট ও দূষণ কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন এসময় বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৭৬ শতাংশ ট্রিপ দুই কিলোমিটারের মধ্যে সংঘটিত হয়। হেঁটে যাতায়াতের আনন্দদায়ক ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা গেলে অনেকেই হাঁটতে উৎসাহিত হবেন। এতে দৈনন্দিন কাজে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার থেকে অনেকে বিরত থাকবেন।
‘দি ডেথ অ্যান্ড লাইফ অব গ্রেট আমেরিকান সিটিস’ বইতে নগরবিদ ইয়ান জ্যাকবস গাড়ি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে প্রথম ধারণা দেন। সত্তরের দশকের জ্বালানি সংকটের সময় ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আলোচনায় আসতে থাকে। যার প্রভাবে বর্তমানে পৃথিবীর ৪০০০ এর অধিক শহরে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালিত হয়।
২০০৬ সাল থেকে বেসরকারি উদ্যোগে বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস পালিত হয়ে আসছে ঢাকায়। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত উদ্যোগে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।
আনন্দবাজার/কআ