ঢাকা | সোমবার
১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভীমের দাদন ফাঁদ

ভীমের দাদন ফাঁদ
  • সর্বশান্ত আদিবাসি পরিবার
  • মামলা থেকে মুক্তি-দাদন ব্যবসায়ী ভীম চন্দ্র বর্মণের বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ভীম চন্দ্র বর্মণ নামে এক দাদন (সুদ) ব্যবসায়ীর জাতাকলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে আদিবাসী পরিবারসহ কয়েকটি পরিবার। বিশেষ করে দাদন ব্যবসায়ীর দায়ের করা মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন রকমের হুমকির স্বীকার হতে হয়েছে এসব পরিবারের সদস্যদের। মামলার ভার সইতে না পেরে এখন স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আদিবাসী পরিবার।

উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের বোরামবাড়ীর মৃত সূর্যকান্ত তিগ্যার ছেলে অরবিন্দ তিগ্যাসহ ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবার মামলা থেকে মুক্তি ও দাদন ব্যবসায়ী ভীম চন্দ্র বর্মণের বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেণ। ভীম চন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধে গোরাই গ্রামে আরও বেশ কিছু পরিবারকে দাদন ব্যবসার ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করার অভিযোগ রয়েছে।

অরবিন্দ তিগ্যা বলেন, উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের নরেশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে ভীম চন্দ্র বর্মন। তিনি রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার রোষানলে পড়ে আমি সর্বশান্ত হয়েছি। আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। তার বোন জামাই এর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলাম। বিনিময়ে এ পর্যন্ত ৬৫ হাজার টাকা সুদ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভীম মাষ্টার কৌশলে আমার দেওয়া চেক ও ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। কিছুদিন পর ভীম মাষ্টার আমার বিরুদ্ধে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেকের মামলা আদালতে করেছে।

এ বিষয়ে ভীম চন্দ্র বর্মন বলেন, অরবিন্দ মুরগীর ব্যবসায়ী। মুরগী ক্রয় ও মুরগীর শেড বানানোর কথা বলে আমার নিকট থেকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা কর্জ নেয়। প্রায় ২ বছর পার হতে চলল। এখন পর্যন্ত সে কোনো টাকা পরিশোধ করে নাই। তাই মামলা করতে বাধ্য হই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তি যত প্রভাবশালীই হোক বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো পরিবার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে লক্ষ রাখা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন