ঢাকা | সোমবার
১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিন্ডিকেটের কবলে ইলিশ

চড়া দামে হতাশ ক্রেতা-বিক্রেতা

দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশনে বাজারে ইলিশ মাছের দাম চড়া। চরফ্যাশনের নদ-নদীতে তুলনামূলক কিছুটা কম হলেও গত কয়েক দিন ধরে ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। তবে দাম কমেনি। এতে ইলিশ কিনতে না পেরে যেমন ক্রেতারা হতাশ, তেমনি ক্রেতাদের আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় বিক্রেতারা হতাশ।

জেলেরা বলছে, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা না মেলায় দাম কমছে না। মাছের বেপারীরা বলছে, ভরা মৌসুমেও তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। তাই জেলেদের চাহিদা (খরচ না ওঠা) এখনো পূরণ হয়নি। তাদের চাহিদা পূরণ হওয়ার পর দাম কমবে। বিক্রেতারা বলছে, নদীতে আগে বেশি ইলিশ ধরা পড়লেও এখন কম ধরা পড়ছে। তাই দাম কমেনি। অন্যদিকে দাম না কমার পেছনে বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে সাধারণ ক্রেতারা।

চরফ্যাশনের বাজারে এক কেজি ওজনের এক হালি (চারটি) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। জাটকার হালির দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এতে জেলে, মাছের বেপারি, বিক্রেতা ও ক্রেতারা অনেকটা হতাশ।

জেলে, মাছের ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ক্রেতা-বিক্রেতারা জানায়, কয়েক দিন ধরেই চরফ্যাশনের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে কিছুটা রুপালি ইলিশ ধরা পড়ছে। আর তা বিক্রি হচ্ছে চরফ্যাশনের বিভিন্ন মাছঘাটে, বাজারে, লঞ্চে ও ফুটপাতে। চরফ্যাশনের ইলিশ যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়ও। তবু চরফ্যাশনে দাম কমেনি।

চরফ্যাশন পৌর এলাকার মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ১০-১২ জন বিক্রেতা ইলিশ নিয়ে বসে আছেন। তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা ইলিশ না কিনেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন।

ক্রেতা নোমান সিকদার বলেন, বাজারে কিছু ইলিশ দেখা গেলেও ক্রেতা অনেক বেশি। তাই দাম চড়া। এজন্য ইলিশ না কিনেই চলে যাচ্ছি। আরেক ক্রেতা জামাল মোল্লা বলেন, চরফ্যাশনের মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে বেশ কয়েকদিন ধরেই কিছু ইলিশ ধরা পড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় বাজারে ইলিশের দাম কমেনি। বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। মাছ বিক্রেতাদের কাছে অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। মাছের বাজারে প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। অবিলম্বে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো হোক।

বাজারের বিক্রেতা বসির প্রায় ৭০০ গ্রাম ওজনের এক হালি ইলিশের দাম চাইছেন সাড়ে তিন হাজার টাকা। বিক্রেতা মামুন এক হালি জাটকার দাম চাইছেন ২৫০ টাকা। এ বিষয়ে মাছ বিক্রেতারা বলেন, এখন নদীতে ভাটা। এ জন্য নদীতে ইলিশ কম ধরা পড়ছে। তাই দাম বেশি।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, চরফ্যাশনের নদ-নদীতে এখন জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে দামও কম হওয়ার কথা। তবে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে থাকতে পারে। এ কারণে ইলিশের দাম কমছে না বলে মনে করেন এ মৎস্য কর্মকর্তা।

সংবাদটি শেয়ার করুন