- জিএমপি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে
- বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির শ্বাসনালী ও এক কান পুড়ে গেছে, তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির শ্বাসনালী ও এক কান পুড়ে গেছে, তিনি শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তাকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) সহকারি কমিশনার (মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ৫ জনের মধ্যে রনি ছাড়া অন্যরা পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল)।
শুক্রবার রাতেই বেলুন বিস্ফোরণে ঘটনা তদন্তে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) ডিসি (উপ-কমিশনার, উত্তর) আবু তোরাব শামসুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জিএমপি কমিশনার। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন এডিসি (উত্তর) রেদোয়ান আহমেদ, এসি প্রসিকিউশন ফাহিম আশজাদ ও গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম। তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেনের বরাত দিয়ে জানান, আবু হেনা রনি শঙ্কামুক্ত নন। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। আমাদের আরও সময় অপেক্ষা করতে হবে। আবু হেনা রনির সঙ্গে দগ্ধ জিল্লুর রহমান (৩২) নামে আরেকজন যুবককেও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন তার শরীরের ১৯ শতাংশ দগ্ধ হয়ে শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
জিএমপি’র সহকারি কমিশনার (মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন আরও জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইন মাঠে জিএমপি’র চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বেলুন বিস্ফোরণে আবু হেনা রনি ছাড়াও আরও চার জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে রনিসহ তিন জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বার্ন ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়। রনি ও জিল্লুর ছাড়া চিকিৎসাধীন অপরজনের নাম মোশাররফ হোসেন।
এদিকে, জিএমপি কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম আহত কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির পাঁচ শতাংশ পুড়েছে এবং অন্যরা সকলেই আশংকা মুক্ত দাবি করলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছে রনির ২৫ শতাংশ এবং জিল্লুর ১৯ শতাংশ পুড়েছে। তাদের দুজনের শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্যরা আশংকা মুক্ত।
মোল্যা নজরুল ইসলাম আরও বলেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বেশ কয়েকবার চেষ্টা করার পরও সেগুলো উড়েনি। পরে পায়রা উড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রসহ অন্য অতিথিরা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চের দিকে চলে যায়। সেখানে গিয়ে কেক কাটেন এবং বক্তব্যে অংশ নেন। এপর বেলুনগুলো নিয়ে যাওয়া হয় উদ্বোধন মঞ্চের পেছনে। কিছুক্ষণ পরই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। সহকর্মীরা দ্রুত আহতদের গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।