চলতি আমন মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি না হওয়ায় দেরিতে আমন চাষ করেছে কয়রার কৃষকরা। কৃষকরা দীর্ঘদিন সার ক্রয় না করায় পর্যাপ্ত সার মজুদ আছে ডিলারদের কাছে। উপজেলায় সার সংকট এবং বেশি দামে খুচরা ডিলাররা বিক্রি করতে না পারে সেজন্য নিয়মিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।চলতি আমন মৌসুমে কয়রা উপজেলায় পনের হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ এখন রোপন শেষ পর্যায়। যে কারণে বিগত আগষ্ট মাসের সার কৃষকরা ক্রয় না করায় সারের অনেকটা মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন ডিলারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান জানান, গত সাত সেপ্টেম্বর উপজেলা সার বীজ মনিটরিং সভায় সকল বিসিআইসি ডিলারদের উপস্থিতে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের উপস্থিতে আলোচনা সভায় খুচরা ডিলারদের সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি না নেওয়ার নির্দেশনা দেন এবং প্রতিটি দোকানে সারের মূল্য তালিকা ঝুলানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়।এসময় খুচরা বিক্রেতারা জানান ,পর্যাপ্ত সার তাদের কাছে মজুদ রয়েছে, গত জুলাই ও আগষ্ট মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকরা সময়মত বীজতলা এবং রোপন কাজ করতে না পারায় দীর্ঘ এক মাস সার বেচাকেনা হয়নি। যে কারণে তাদের প্রতিটি পাইকারি ও খুচরা ডিলারদের কাছে সার মজুদ আছে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করে কৃষকের হাতে ক্যাশমেমো দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান জানান, দুই দিন আগে তারা ধান রোপনের কাজ শেষ করেছেন এবং চাহিদামত সার সরকারের নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় করতে পেরেছেন।সারের দাম খুচরা বিক্রেতারা বেশি নেইনি।সময়মত সার ক্রয় করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, তিনি সম্প্রতি কয়েকটি বাজারে সারের দোকানে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির প্রমাণ পাননি। ডিলারদের কাছে পর্যাপ্ত সার আছে। সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।