মিরসরাইয়ে কাভাডর্ ভ্যান চাপায় দুই সহোদরসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামে জানাজা শেষে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে সুমন (২৮) ও শেখ ফরিদ (৩০) আপন সহোদর ভাই। তারা মিরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামের শামসুদ্দীনের ছেলে। দুই ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বৃদ্ধ শামসুদ্দীন। তার আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে।
দুই ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা নুরজাহান। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, এভাবে বুকখালি করে দুই ছেলে চলে যাবে কখনো চিন্তাও করতে পারিনি। আমি এখন কাকে নিয়ে বাঁচবো। ছোট ছোট নাতি-নাতনিদের কী হবে?
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কামরুল হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেনÑ মিরসরাই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মো. হারুনের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), মিরসরাই সদর ইউনিয়নের গড়িয়াইশ গ্রামের শামসুদ্দীনের ছেলে সুমন (২৮) ও শেখ ফরিদ (৩০) এবং পূর্ব রায়পুর এলাকার আবুল কাশেম। আহতরা হলেন- জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশের এএসআই মো. মোস্তফা (৪৫) ও কনস্টেবল আব্দুল আউয়াল (৫০), স্থানীয় বাসিন্দা রফিক (২৫) এবং শেখ আহম্মদ (৪৫)। অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে এএসআই মোস্তফার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় ফিলিং স্টেশন থেকে বের হওয়ার পর একটি লরিকে চট্টগ্রামগামী জোনাকি পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। খবর পেয়ে দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশ এসে সেখানে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। তখন সঙ্গে এলাকার লোকজন ও স্থানীয় সিএনজিচালকরাও ছিলেন। এমন সময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী একটি কাভার্ডভ্যান দাঁড়িয়ে থাকা সবাইকে চাপা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. পলাশ কুমার দে জানান, আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করা হয়েছে।
