ঢাকা | সোমবার
১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারী বর্ষণ-উজানের ঢলে তীব্র ভাঙন

ভারী বর্ষণ-উজানের ঢলে তীব্র ভাঙন
  • পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন

কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে তীব্র হয়েছে নদীর ভাঙন। পানি বৃদ্ধির কারণে তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ সেন্টিমিটার। ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ার কারণে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হরিপুর, চন্ডীপুর, কাপাসিয়া, সীচাসহ ফুলছড়ির উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর, উত্তর উড়িয়া ও জিগাবাড়ী, ফজলুপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাটিয়ামারী, মধ্য খাটিয়ামারী, পশ্চিম খাটিয়ামারী, তালতলা, কাউয়াবাধা ও নিশ্চিন্তপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনারচর ও জিয়াডাঙ্গা চর এলাকায় নিম্নাঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে। পাশাপাশি নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে এসব এলাকার প্রায় ২৫০টি পরিবার নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া চরে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। তিস্তা নদীর পানি বাড়ার কারণে ছোট ছোট চরের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি চরের মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্ত  লালমিয়া বলেন, কয়েকদিন দফায় দফায় বৃষ্টিতে আমরা কোথাও যাওয়ার জাগয়া নাই। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এতে করে এক বেলা খাই অন্য বেলায় খেতে পারি না। এখন কোথায় যাবো তাও জানি না। হাতে ছিলো দুই হাজার টাকা তাও নিতে পারি নাই। নদী চলে গেছে ঘর সহ। শহিদুল মিয়া বলেন, আমরা কি মানুষ না। আমরা চেয়ারম্যানের মেম্বরে কাছে গেলে কোনো ভালো মন্দ কথা বলতে পারি না। খালি বলে নদী ভাঙন কীভাবে ঠেকাবো। গত ২৫ দিন থেকে প্রচুর নদীভাঙতে শুরু করছে। একদিন কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয় না। আবিজার বলেন, তিনটা মেয়েকে নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেছি। বিয়ে দিবো তাও বাড়িভিটা নাই। এখন কোথায় যাবো এ মেয়ে তিনটাকে নিয়ে।

কাপাসিয়া ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান মো. মন্জু মিয়া বলেন, সীচা কাপিসায় দুই ইউনিয়নের মধ্যে নদী তীর ভাঙন শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন