ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈঠা ছেড়ে কলম

বৈঠা ছেড়ে কলম
  • মান্তা সম্প্রদায়ে শিক্ষার আলো

নদীর জলে দুঃখ ভাসে। কখনো কি শুনেছেন ? নদীর জলে হয়তো দুঃখ ভাসেনা। কিন্তু নদীর জলের উপরে যাদের বসবাস, জন্ম মৃত্যু বিয়ে সবটাই জলের উপরে। জলের উপরে ভাসা মানুষের মনের দুঃখ কষ্ট তো জলের উপরেই গাঁথা। তাইতো বলাই যায় জলের উপরে দুঃখ ভাসে।

জীবন যাদের জলে ভেসে চলে নাম তাদের মান্তা সম্প্রদায়। এরা মুসলিম। নদী ভাঙ্গনে তাদের শেষ সম্বল ভিটেমাটি হারিয়ে সামান্য মাথাটুকু গোঁজার ঠাঁই ছিল না। মরে গেলে মাটি দেওয়ার জায়গা পর্যন্ত ছিল না। তাই তারা নদীর জলে নৌকাতে বসতি গড়ে তুলেছেন। জন্ম-মৃত্যু বিয়ে সবটাই তাদের নৌকায়। দিন কাটে তাদের নদীর জলে মাছ শিকার করে। যে বয়সে শিশুদের লেখাপড়া করার কথা। সে বয়সে তাদের দেওয়া হয় বৈঠা চালানোর  শিক্ষা। তাই তারা যুগ যুগ ধরেই মুলধারার বাহিরে থাকতো। জল ছেড়ে ডাঙায় উঠলে তারা ডাঙ্গার মানুষদের সাথে নিজেদেরকে খাপ খাওয়াতে পারত না। এমনই একটি মুসলিম সম্প্রদায়কে  দেখা যায় পটুয়াখালী রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইস  বাজারে। মুসলিম চ্যারিটি হেলফ ইন দ্যা নিডিং এর অর্থায়নে নদীতে ভাসমান এই মান্তা সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য করা হয়েছে ভাসমান প্রাক প্রাথমিক বোর্ড স্কুল। দেয়া হচ্ছে তাদের দুপরের খাবার। এখন থেকে শিশুরা শিখবে লেখাপড়া।এরাও চলে আসবে মূলধারায়। এই শিশুদের লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়ায় জাগো নারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুশীল সমাজ।

এই মান্তা সম্প্রদায়ের শিশুরা আগামী দিনের জাতির মেরুদন্ড হিসেবে গড়ে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

ভাসমান প্রাক প্রাথমিক বোর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব খান বলেন,আমি ধন্যবাদ জানাই জাগোনারীকে, পিছিয়ে পরা মান্তা সম্প্রায়ের শিশুদের লেখা পড়া করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন