টানা বর্ষণে স্থবির জনজীবন
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে গত তিনদিন ধরে টানা মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৪.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে জেলা আবহাওয়া অফিস। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। কেউ কাজে যেতে পারছেন না। ফলে অর্থাভাবে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
অপরদিকে নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পায়রা নদীর বেড়িবাঁধের রামপুর ও সুন্দ্রা কালিকাপুরসহ বিভিন্ন জায়গার ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয় পানি প্রবেশ করে প্রায় ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। ডুবে গেছে আমনের বীজতলা। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষিরা।
এদিকে উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের মেহিন্দাবাদ এলাকার পায়রা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ৫ গ্রাম। এসব এলাকার মানুষ পার করছে মানবেতর জীবন। উনুন জ্বলেনি অনেকের ঘরে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও পুকুর।
মেহিন্দাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ছোবাহান মিয়া জানান, রাতে হঠাৎ আমাদের এলাকার বেড়িবাঁধ ছুটে গেছে। আমাদের ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
রানীপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাক জানান, আমাদের এলাকার পুকুর থেকে শুরু করে মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। আমাদের চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে।
মিজার্গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ফেরদৌস জানান, যাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সংস্কারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।