ঢাকা | বুধবার
১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজ ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী

আজ ঢাকা ছাড়ছেন প্রধানমন্ত্রী
  • যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশ। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর হতে অধিবেশনের উচ্চপর্যায়ের বিতর্ক পর্ব শুরু হবে। অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান। এ বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “ওয়াটারশেড মোমেন্ট: ট্রান্সফরমেটিভ সল্যিউশন্স টু ইন্টারলোকিং চ্যালেঞ্জ”।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সফরে তিনিসহ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং পররাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন। নিউইয়র্ক ভ্রমণের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী ১৫ হতে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করবেন। নিউইয়র্কের সফর শেষে তিনি ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থান করবেন।

মন্ত্রী বলেন, করোনামহামারি ও বিশ্বে চলমান বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। জালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন দেশে ব্যাপক মূল্যস্ফীতি হয়েছে। নতুন এ সংকটের ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে। এসব কারণে জাতিসংঘের এই সাধারণ অধিবেশনে করোনা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকটের পাশাপাশি খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, বহুপাক্ষিকতাবাদ, টেকসই আবাসন, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও অন্তর্ভূক্তিমূলক ডিজিটাল অবকাঠামো গঠনের বিষয়সমূহ আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল গুরুত্বপূর্ণ এসব ইস্যুতে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত অগ্রাধিকার বিষয়গুলো তুলে ধরবে।

সাধারণ বিতর্ক পর্ব চলাকালীন বেশ কিছু উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উচ্চ পর্যায়ের সভাসমূহ হলো:

১. ট্রান্সফর্মিং এডুকেশন সামিট-টিইএস শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সভা। সভাটি ১৯ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীকে টিইএস এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে ১৯ সেপ্টেম্বর লন্ডনে ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্তোষ্টিক্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন বিধায় তিনি টিইএস সভায় অংশগ্রহণ করতে পারছেন না। শিক্ষামন্ত্রী সামিটে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করবেন।

২. প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর ইউএনজিএ প্লাটফর্ম অব ওম্যান লিডার্স এর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিবেন। সংকট মোকাবিলায় নারী নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা, গৃহীত উত্তমপন্থা এবং সংকট মোকাবিলায় তাঁদের সাফল্য বৈশ্বিক বিভিন্ন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ লক্ষ্যে ৭৬তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি প্লাটফর্ম অব ওম্যান লিডার্সের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সভায় প্রধানমন্ত্রী সংকট মোকাবিলায় তাঁর অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে তাঁর নেতৃত্বের সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরবেন।

৩. মিটিং অব দ্যা চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপোন্স গ্রুপ-জিসিআরজি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সভাটি ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ গ্রুপে ছয়জন চ্যাম্পিয়নের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। গত ২২ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিব খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক বিষয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট ছয়টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানগণের সমন্বয়ে এ গ্রুপটি গঠন করেন। উচ্চপর্যায়ের এ সভায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করবেন। উক্ত বৈঠকে এ-৭, এ-২০ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন।

৪. ২২ সেপ্টেম্বর এন্টিমাইক্রোবিয়েল রেসিস্টেন্স-এএমআর বিষয়ক একটি উচ্চপর্যায়ের সভায় প্রধানমন্ত্রী কো-চেয়ার থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী ও বার্বাডোজের প্রধানমন্ত্রী এএমআর বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এবং বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে গঠিত ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন এন্টিমাইক্রোবিয়েল রেসিস্টেন্স শীর্ষক গ্রুপের সহ-সভাপতি। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বা জীবাণুরোধক ঔষধের মাত্রাতিরিক্ত ও উদ্বেগজনক ব্যবহারের কারণে ব্যক্তি, প্রাণী বা উদ্ভিদের দেহ এ সকল ঔষধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। যার ফলে জনস্বাস্থ্য, সমাজ ও অর্থনীতির উপরসুদূরপ্রসারী বিরূপ প্রভাব পড়ে। বিশ্বব্যাপী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও এ সমস্যার টেকসই সমাধানই এই উচ্চ পর্যায়ের সভার মূল লক্ষ্য।

৫. ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য রাখবেন। এবারও তিনি বাংলায় বক্তৃতা দেবেন। বক্তব্যে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রযুক্তিখাত বিকাশে সরকারের কার্যক্রম তুলে ধরবেন। করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে না উঠতেই ইউক্রেন সংঘাত বিশ্বকে সামষ্টিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হবে সে বিষয়টি এবং সংকট মোকাবিলায় একতরফা জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ কিংবা নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত না নিয়ে সংকট সমাধানে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান এবং বহুপাক্ষিকতাবাদকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে গুরত্বারোপ করতে পারেন। করোনার মতো ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যসংকট মোকাবিলার লক্ষ্যে টিকা এবং প্রতিষেধকের ন্যায্য ও আরও ন্যায়সঙ্গত বণ্টনের জন্য আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করতে পারেন।

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে উপায় খুঁজে বের করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাতে পারেন। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ অবস্থান, সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রপন্থার বিষয়ে বাংলাদেশের ‘জিরোটলারেন্স’ নীতি, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ অভিবাসন অভিবাসীদের মৌলিক পরিষেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা, জলবায়ুপরিবর্তন ও এর প্রভাব, জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, এবং ফিলিস্তিন সম্পর্কিত বিষয়সমূহ তাঁর বক্তব্যে উঠে আসবে। 

৬. এবারের অধিবেশনে ‘দ্যা ফিইচার অব ডিজিটাল কো-অপারেশন: বিল্ডিং রিসাইল্যান্স থ্রট সেইফ, ট্রাস্টেড এন্ড ইনক্লোসিভ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্টাকচার গ্যাস হাই-লেভেল রাউনটেবিল অন মাল্টিলিটারেজম এন্ড ফুড সিকিউরিটি’ বিষয়ক আরো দুটি পৃথক সভায় প্রতিনিধিত্ব করবেন। প্রথম সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা অংশগ্রহণ করতে পারেন।

৭. কোভিড-১৯ জনিত কারণে এবার কোন সাইড ইভেন্ট জাতিসংঘ সদর দপ্তরের অভ্যন্তরে অনুষ্ঠিত হবে না। তবে, রোহিঙ্গা সমস্যা এবং টেকসই আবাসন বিষয়ে পৃথক দুটি সাইড ইভেন্ট আয়োজন করবে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা বিষয়ক সাইড ইভেন্ট ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী তাতে অংশ নিবেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিও ইউনিয়ন, ওআইসি সেক্রেটারিয়েট, কানাডা, সৌদি আরব, তুর্কি, গাম্বিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া রোহিঙ্গা বিষয়ক সাইড ইভেন্ট কো-স্পন্সর। জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক রোহিঙ্গা বিষয়ে ব্রিফ করবেন।

৮. টেকসই আবাসন বিষয়ক সাইড ইভেন্টটি ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ এবং জাতিসংঘ আবাসন সংস্থা যৌথভাবে এটি আয়োজন করছে। প্রধানমন্ত্রী এতে অংশগ্রহণ করবেন এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত আশ্রয়ন প্রকল্পের সফলতা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।

৯. ইভেন্ট দুটি আয়োজনের পাশাপাশি জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ভেতরে পদ্মা বহুমুখী সেতু বিষয়ক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধিকল্পে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিতি পদ্মা সেতু বিশ্ব  সভায় একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও এর বিরূপ প্রভাব বিষয়ে বেশ কয়েকটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এসব সাইড ইভেন্ট বাংলাদেশের উপযুক্ত প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন।

১০. প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিবেন। কসভোর প্রেসিডেন্ট, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, ক্যাম্বডিয়ার প্রধানমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালকের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়ে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন।

১১. প্রধানমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আয়োজনে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিবেন। এই বৈঠকে ব্যবসায়ীগণ বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়সমূহ উপস্থাপনা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ তাদের বিনিয়োগ প্রস্তাব তুলে ধরবেন। এর মাধ্যমে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটি সংযোগ তৈরি হবে। এবারও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীগণ প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি রিসেপশন আয়োজন করবেন। ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে তিনি একাধিক বৈঠকে অংশ নিবেন।

১২. জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা যথারীতি অংশ নিবে। এবারের জাতিসংঘের অগ্রাধিকার ইস্যুগুলো প্রত্যকটি বাংলাদেশের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই ইস্যুগুলোর ওপর যেসব ইভেন্ট আছে বাংলাদেশ তার সব কয়টিতেই অংশ নিবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বহুপাক্ষিক কূটনীতিকে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে মনে করে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে বাংলাদেশের নিবিড় অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে অক্ষুণ্ন থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন