ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুটব্রিজ ভেঙে ভোগান্তি চরমে

ফুটব্রিজ ভেঙে ভোগান্তি চরমে

নির্মাণের ২০ বছর পর ধসে পড়েছে পাইকগাছার কপিলমুনির নাছিরপুর খালের উপর নির্মিত ফুট ব্রিজটি। গত রবিবার দুপুরে মাছের পোনাবাহী একটি পিকআপ ব্রিজের উপর উঠলেই হুড়-মুড়িয়ে মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ে ব্রিজটি। বিস্তীর্ণ অঞ্চলের প্রায় ৩ কিমি. দৈর্ঘ্যের নাছিরপুর খালের দু’পারে বসবাসকারি কয়েক গ্রামের বাসিন্দাদের সার্বিক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ ফুট ব্রিজ। দু’পারের বসবাসকারী ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে ব্রিজটিই একমাত্র ভরসা।

খালের এ পারে তালতলা এবং ওপারে গোয়ালবাথান-চিনিমলা অবস্থিত। বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক আর ওপারে ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত ১০নং জি.টি.চিনিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। এপারের বাসিন্দাদের চা খেতেও ওপারের দোকানগুলোর আশ্রয় নিতে হয়। এছাড়া লোনা পানি অধ্যুষিত দ্বীপাঞ্চলের রোদে পোড়া বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার বেসাতিতে উপ-শহর কপিলমুনি কিংবা উপজেলা সদর পাইকগাছা পৌছাতে ভর করতে হয় এ ফুটব্রিজে। মাত্র দুই রাতেই আজ সব মাধ্যমই যেন ইতিহাস। দুরন্তপনায় ডানা মেলে থাকা শিশুরা এ-পারে দাঁড়িয়ে ও-পারের শিশুদের খেলা করা দেখছে। সোমবার ও মঙ্গলবার প্রত্যুষে স্কুলে যেতেও পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে পারাপারের জন্য মাধ্যমের। অনেকের আবার পৌঁছানো হয়নি প্রিয় বিদ্যাপীঠে। এভাবেই কেটেছে ব্রিজবিহীন প্রথম ও দ্বিতীয় দিন।

ব্রিজের গায়ে সাটা ফলক থেকে জানা যায়, স্বল্প ব্যয়ে গ্রামীণ সড়কে পূল/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ফুট ব্রিজটি নির্মাণ করে। ঠিকাদার সৈয়দ মিনার হোসেন কার্যাদেশ পেয়ে ২০০০ সালের ১৫ মে এর নির্মাণ কাজ শেষ করেন।

এদিকে ব্রিজটি নির্মাণের মাত্র ২০ বছরে ভেঙে পড়ায় এর নির্মাণ মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সর্বশেষ এলাকাবাসী খালের উপর পূণ:ব্রীজ নির্মাণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি খুলানা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য আলহাজ্জ্ব আক্তারুজ্জামান বাবুর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন