ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৃষ্টিনন্দন ওয়াক-ওয়ে এখন ভুতুরে গলি

দৃষ্টিনন্দন ওয়াক-ওয়ে এখন ভুতুরে গলি
  • বালু ব্যবসায়িদের দৌরাত্ম
  • পাঁচ বছরেও দেয়া হয়নি বিদ্যুৎসংযোগ

মাদারীপুরের গোড়াইন থেকে মহিষের চর পর্যন্ত আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় ঘেঁষে ৬ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩.৮ কিলোমিটার ওয়াক-ওয়ে নির্মাণ করে বিআইডব্লিউটিএ

মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ নদের পাড় ঘেঁষে নির্মিত ওয়াক-ওয়েতে এখনও সংযোগ দেয়া হয়নি বিদ্যুৎ। সন্ধ্যা হলেই পুরো ওয়াক-ওয়ে পরিণত হয় ভুতুরে গলিতে। অন্যদিকে বালু ব্যবসায়িরা রাস্তাসহ ওয়াক-ওয়ে দখল করে চালাচ্ছে তাদের ব্যবসা। তদারকির অভাবে ভেঙে যাচ্ছে অনেক স্থাপনা। এছাড়া বন জঙ্গলে ভরে যাচ্ছে ওয়াক-ওয়ে।

মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের গোড়াইন থেকে মহিষের চর পর্যন্ত আড়িয়াল খাঁ পাড় ঘেঁষে বিআইডব্লিউটিএ ৬ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে ৩.৮ কিলোমিটার ওয়াক-ওয়ে। এ ওয়াক-ওয়ে দৃষ্টিনন্দন করতে নির্মাণ করা হয় বসার বেঞ্চসহ বিভিন্ন স্থাপনা। পুরো ওয়াক-ওয়েজুড়ে বসানো হয় লাইট পোষ্ট, দেয়া হয় লাইট। তবে নির্মাণের ৪ বছর হয়ে গেলেও এখনও দেয়া হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। তাই সন্ধ্যা হলেই অন্ধোকার হয়ে যায় ওয়াক-ওয়ে। দীর্ঘদিন পড়ে থাকাতে অনেক লাইটপোষ্টের বাল্ব চুরি হয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে লাইট পোষ্টের মাথা।

স্থানীয়রা জানান, শহরের পাকা মসজিদ এলাকায় সরকারি রাস্তা দখল করে প্রভাবশালী একটি মহল দীর্ঘদিন বালুর ব্যবসা করে আসছে। বর্তমানে তারা রাস্তার সঙ্গে সঙ্গে ওয়াক-ওয়ে দখল করে ব্যবসা করছে। ওয়াক-ওয়ের দেয়ালে ইট দিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে কেউ ব্যবসা করছে। আবার কেউ কেউ ইট সিমেন্ট দিয়ে স্থায়ীভাবে দেয়াল তুলে বালুর ব্যবসা করছে। এতে অনেকের মনে ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে অনেকেই মুখ খুলছে না।

বিআইডিব্লিউটিএ বরিশাল ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বারবার মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ও মাদারীপুর পৌর মেয়রকে বিষয়টি জানালেও কেন এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎসংযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি তা বুঝতে পারছি না।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, বিআইডব্লিউটিএ ও মাদারীপুর পৌরকর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বিদ্যুৎসংযোগ দেয়া হবে।

বিদ্যুতসংযোগ দিয়ে প্রতিটি লাইটপোষ্টে আলো জ¦ালানোর পাশাপাশি ওয়াক-ওয়ের পাশে যে ঝোপ-ঝাড়ের সৃষ্টি হয়েছে তা পরিস্কার করলে এ স্থাপনাটি যেমন শহরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিবে। এছাড়া যথাযথ তদারকির মাধ্যমে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে সুস্বাস্থ্যের জন্য মানুষ এখানে প্রতিদিন হাটতে পারবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন