দেশের কোনও মানুষ যেন অনাহারে না থাকে সেজন্য টিসিবি এবং ওএমএসের মাধ্যমে সরকার সুলভ মূল্যে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে টিসিবি।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়ায় টিসিবির চলতি মাসের পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, পারিবারিক কার্ডের মাধ্যমে পণ্য ক্রয় করে দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। প্রতি মাসেই টিসিবি এসকল পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় করবে। এর পাশাপাশি সরকার ওমমএস এর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। ইতোমধ্যে বাজারে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ও নিরাপদে থাকা নিশ্চিত হয়েছে। সে কারণেই আগামী সাধারণ নির্বাচনেও দেশের জনগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে রায় দেবেন।
এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা প্রশাসক আসিব আহসানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকা কাউনিয়া উপজেলার সিবু মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সমাবেশে যোগদান করেন। এ সময় দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, ঢাকায় তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকায় চলতি মাসের টিসিবি’র পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ কে এম আলী আহাদ খান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, উত্তর সিটি করপোরেশন এর ২৪ নং ওয়ার্ডের কমিশনার আলহাজ সফিউল্লাহ (সফি)।
উল্লেখ্য, প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে একজন ২ লিটার তেল, ২ কেজি মশুর ডাল ও ১ কেজি চিনি কিনতে পারছেন ৪০৫ টাকা প্যাকেজে। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ডাল ৬৫ টাকা এবং চিনি ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে । ঢাকার প্রায় ৩০০ ডিলার এবং দেশব্যাপী প্রায় ৩ হাজার ৫০০ ডিলারের মাধ্যমে সারা মাসব্যাপী বিক্রয় কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।