শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খানা-খন্দে ভরা সড়ক

ভোগান্তিতে চালক-যাত্রীরা

ভোগান্তিতে চালক-যাত্রীরা

খানা-খন্দে ভরা ঝালকাঠি-মানপাশা-গগনহাট-বরিশাল সড়কে এখন জনদুর্ভোগ চরমে। প্রায় দুই বছর ধরেই এমন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গঙ ও গর্ত রয়েছে। সড়ক জুড়েই রয়েছে উচু-নিচু টিবি। ভাঙা রাস্তা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের। এ সড়কের পাশের গ্রামগুলো কৃষি সমৃদ্ধ হওয়ায় কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা খারাপ থাকায় স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

ঝালকাঠি শহর থেকে মানপাশা হয়ে বিনয়কাঠি ইউনিয়ন পার হয়ে বরিশাল দিয়ে উত্তরাঞ্চলে যাবার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন খানা খন্দে ভরা। স্থানীয় সরকার ১৩.৭ কিলোমিটারের এ সড়কটির স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নথিপত্রে নাম ঝালকাঠি-গগনহাট সড়ক। বাইপাস সড়কের পাশাপাশি এ সড়ক থেকে বরিশাল যাওয়ার যায় একমাত্র বিকল্প সড়ক। তবে, এ সড়কের মানপাশা থেকে বিনয়কাঠি পযর্ন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কের আশেপাশের কৃষিসমৃদ্ধ গ্রামগুলো থেকে বাণিজ্যিকভাবে প্রতিদিন কৃষিপণ্য শহরে সরবারহ করা হয় এ সড়ক থেকেই। তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙা রাস্তা দিয়েই শহরে যাতায়াত করে। এছাড়া রোগীদের আরও সমস্যা হয় খানা খন্দ ও গর্তে ভরা সড়কটিতে। বিশেষ করে এ সড়ক থেকে সিজারিয়ান রোগীদের শহরে নেয়া যথেষ্ট ঝুকিপূর্ণ বলে জানান স্থানীয়রা।

সড়কে চলাচলরত অটো রিকশা ও মোটরসাইকেল চালকরা জানান, প্রায়ই তাদের গাড়ীর যন্ত্রাংশ রাস্তার ঝাঁকুনিতে বিকল হয়ে যায়। তাই এ এলাকার যাত্রী ও চালকরা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।

ঝালকাঠি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, মূল সড়কটির ভাঙা অংশ ৩.৬৬ কিলোমিটার মেরামতের জন্য ২ কোটি ৪০ টাকার প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে। রক্ষানাবেক্ষণ ইউনিটি পাঠানো এ প্রস্তাব অনুমোদিত হলেই এ সড়কে কাজ শুরু করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  একদিনে মৃত্যু ১৪, শনাক্ত ১২৭৪ জন

সংবাদটি শেয়ার করুন