ঢাকা | বুধবার
১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাঁসের খামারে আয় লাখ টাকা

হাঁসের খামারে আয় লাখ টাকা
  • নন্দীগ্রামে বেকারদের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে

বগুড়ার নন্দীগ্রামে রাস্তার ধারে জলাশয়ে, মাঠে এবং পুকুরে ভাসমান হাঁসের খামার করে বেকার যুবকদের ভাগ্য পাল্টাচ্ছে। হাঁসের ডিম বিক্রি করে মাসে লাখ টাকা আয় করেছেন পৌর সদরের ঢাকুইর উত্তরপাড়া মহল্যার জয়েন উদ্দিন জালালী। খামারের কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন ছেলে রাসেল আহমেদ।

সরেজমিনে গিয়ে ঢাকইর তিনমাথা মোড়ে কাথম-কালিগঞ্জ সড়কের পাশে এমন চিত্র দেখা গেছে। জলাশয়ে সারি সারি হাঁস। দিন বা রাত! সেখানেই খামারীদের বসবাস। ইশারায় বা হাতে খাবারের পাত্র দেখলেই হাঁসের সারি ছুটে আসে খামারীর কাছে। এদিকে মাঠে পুরোদমে ধান চাষ হচ্ছে, যেকারণে জলাশয়ে চারপাশে নেটজাল প্রতিবন্ধক করে ভাসমান খামার হাঁস রেখে খাওয়ানো হচ্ছে গম আর ভূট্রা। মাঠে ধান না থাকলে হাঁসগুলো ছেড়ে দেয়। ফলে খাবার খরচ কমে। প্রায় একযুগ ধরে হাঁসের খামার পরিশ্রম করছেন জয়েন উদ্দিন জালালী। বর্তমানে তার খামারে ১২ শতাধিক হাঁস রয়েছে। এরআগেও কখনো লোকসান গুনতে হয়নি, তবে সরকারিভাবে পরামর্শ, সহযোগিতা ও স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে তিনি বড় করে হাঁসের খামার করবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন। এই খামারী বলেন, এখনো সরকারি সহযোগিতা পাইনি। আমার তিন সন্তানকে নিয়ে একযুগ ধরে হাঁস পালন করছি। হাঁসও আমার কাছে সন্তানের মতো। স্নেহ, যত্ন এবং পরিশ্রম করছি। আমার মতো অনেকেই হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছে।

হাঁসের খামার লাভজনক হওয়ায় বেকার যুবকদের মাঝে আগ্রহ বেড়েছে। তারা বলছেন, সরকারিভাবে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ, প্রনোদনা এবং স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে হাঁস পালন করে স্বাবলম্বী হবেন।

খামারীর ছেলে রাসেল জানায়, বেকার যুবকদের সরকারি সহাযোগিতা করা প্রয়োজন। তারা হাঁস পালন করলে লাভবান হবে। হাঁসের ডিম বিক্রি করে মাসে লাখ টাকা আয় করেছেন। খাকি কেম্বেল জাতের ১ দিনের বাচ্চা দুর্গাপুর থেকে এনেছেন। সঠিক যত্ন এবং খাবার ঠিকঠাক থাকায় রোগের আক্রমণ কম। তবে রোগ দেখা দিলে প্রাণী চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহার করেন। ঢাকইর উত্তরাপাড়া মহল্যার জয়েন উদ্দিন জালালীর মতোই উপজেলার পন্ডিতপুকুর, হাটকড়ই, কল্যাণনগর, ত্রিমহনীসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে রয়েছে ভাসমান হাসের খামার।

সংবাদটি শেয়ার করুন