দেশঝুড়ে জুয়েলারি দোকানে চুরি ও প্রকাশ্যে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে গেছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) স্ট্যান্ডিং কমিটি অন এন্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্টের চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন। দাবি জানালেন, সারাদেশে জুয়েলারি শিল্পের নিরাপত্তার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
এনামুল হক খান দোলন জানান, গত ১ আগস্ট গভীর রাতে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া বাজারের মন্দির মার্কেটের কাঁকন জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল দোকান থেকে প্রায় ১৫০ ভরি স্বর্ণের ও দুই কেজি রূপার গহনা চুরি করে। এছাড়া গত ২৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রজনীগন্ধা মার্কেটে দিন-দুপুরে নিউ বিসমিল্লাহ জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। দোকান থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণ ও ৫০ ভরি রূপা চুরি করে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, গত ২০ জুলাই ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার প্রদীপ জুয়েলার্সে প্রকাশ্যে ককটেল ফাটিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি সংগঠিত হয়। ডাকাতদল দোকান থেকে প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতের গুলিতে দোকান মালিক অধীর কর্মকার গুরুতর আহত হন। ৬ জুন ময়মনসিংহের ট্রাংক পট্টিতে বর্ষা জুয়েলার্সে চুরির ঘটনা ঘটে। গত ২৪ এপ্রিল রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ২৫ এপ্রিল সকাল ৯টার মধ্যে যে কোনও সময় রাজধানীর রাজারবাগ কালী মন্দির মার্কেটে মা গোল্ড হাউজে চুরি সংগঠিত হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের মধ্যে যে কোনও সময় ঢাকার কচুক্ষেত রজনীগন্ধা টাওয়ারের রাঙ্গাপরিতে চুরির ঘটনা ঘটে।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের কালীবাজারে কার্ত্তিক জুয়েলার্সে চুরি সংগঠিত হয়। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় চুরির মামলা দায়ের করা হয়। ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯টা থেকে ১৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ১০ মিনিটের মধ্যে যে কোনও সময় রাজধানীর রমনা মডেল থানার কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি শপিং কমপ্লেক্সের মোহনা জুয়েলার্স ও বেস্ট অ্যান্ড বেস্ট গোল্ড ক্রিয়েশন জুয়েল এভিনিউ প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে।
সর্বশেষ চলতি মাসের অর্থাৎ গত ৬ সেপ্টেম্বর বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বাজুস সদস্য ধীমান ধরকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। আমরা ঘটনাগুলো দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা এবং চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে সারা দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।