পরিকল্পনায় ক্রটির কারণে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের অধা কিলোমিটার দূরে নির্জণস্থানে সরকারি খাস জমির উপর ২০২১ সালের ১৭ আগষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে, পরবর্তীতে ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে বন্ধ হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ।
জানা যায়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নিজস্ব কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় উদ্যোগ নেয় স্থানীয় প্রশাসন। সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের পিলারের মধ্যেই থমকে আছে ভবনের নির্মাণ কাজ। দরপত্রের মাধ্যমে ৬তলা বিশিষ্ট ভবনের কাজটি পায় ঠিকাদার অহিদ এন্ড ব্রাদার্স স্বত্তাধিকারী অহিদুল ইসলাম। যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ কোটি ৫২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩২ টাকা।
তবে বর্তমানে নির্মাণ কাজ বন্ধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার জানান, নকশামতে পাইলিং ৪০ ফুটের স্থলে ৯০ ফুট করা হয়েছে। নকশার ক্রটির কারণে পাইলিং এ অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। এতে বরাদ্ধকৃত টাকা দিয়ে ভবনের অবশিষ্ট কাজ করা সম্ভব নয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমন্ডার জাফর আলী হিরু বলেন, অনেক আগেই বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের কমপ্লেক্স ভবন হয়েছে। একমাত্র চন্দনাইশে নানা জটিলতায় কাজ আটকে গেছে। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে ভবনের কাজ হবে কি না তা নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক মুক্তিযোদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, এমন স্থানে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ হচ্ছে, যেখানে লোকজন নেই। তিনি জনবহুল এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ জুনাইদ আবছার চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পাইলিংয়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, পাইলিং কাজে অতিরিক্ত ব্যয় হওয়ায় বরাদ্ধকৃত টাকায় যতটুকু কাজ সম্ভব তা করতে বলেছি এবং রি-টেন্ডারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে।