বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরনখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ আহরণকালে ১৮টি মাছ ধরা ট্রলারসহ ৫৫ জন জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত রোববার ভোররাতে শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) সামসুল আরেফিন নিজেই বনরক্ষীদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ ওই জেলেদের আটক করেন।
আটক জেলেদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দেয়া হবে বলে বন বিভাগ জানায়। কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাদিক মাহমুদ জানান, আটক হওয়া ট্রলারের মধ্যে ১০টি ট্রলার গত শুক্র ও শনিবার সাগরে ইলিশ আহরণের জন্য দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ি থেকে পারমিট গ্রহন করে। গতরাতে সাগর উত্তাল হওয়ায় তারা কটকার ওই খালে আশ্রয় নেয়। ট্রলারগুলির মধ্যে ১০টি ইলিশ ধরা জাল ও ৮টিতে ক্ষুদ্র ফাঁসের জাল পাওয়া গেছে। আটক জেলেদের বাড়ি শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর ও পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা সøুইস এলাকার বলে তিনি জানান। অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এসব জেলেদের অবৈধভাবে মাছ ধরা সুযোগ করে দেয়। এরা কীটনাশক ব্যবহারসহ নানা কৌশলে মাছ শিকার করে আসছে। সরকারের মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়েও অসাধু জেলেরা সুন্দরবনে প্রবেশ করে অবৈধভাবে মাছ শিকার করে আসছে। যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে এসিএফ নিজেই রোববার ভোর রাতে অভিযান চালায় এবং হাত-নাতে জেলেদের আটক করে। জেলেদের পরিবারের দাবি, সুন্দরবনে অবৈধভাবে প্রবেশের সুযোগ করে দেয়া বনরক্ষীদের কোনো শাস্তি হয় না। শাস্তি হয় শুধু দরিদ্র জেলেদের।
বাগেরহাট সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের জন্য রেঞ্জে কর্মকর্তা কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় যায়। এ সময় কটকার কাদেরের খালে অবৈধভাবে প্রবেশ করা ১৮টি মাছ ধরা ট্রলার দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ট্রলারসহ ৫৫ জেলেকে আটক করেন তিনি। আটক জেলে ও ট্রলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।