ঢাকা | রবিবার
২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ৯, আহত অর্ধশতাধিক

দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ৯, আহত অর্ধশতাধিক

রংপুরের তারাগঞ্জের খারুভাজ এলাকায় ঢাকাগামী ইসলাম পরিবহনের সঙ্গে সৈয়দপুরগামী জোয়ানা পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৯ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। আহতদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় দুর্ঘটনা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থলেই ৫ জন মারা গেছে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজন মারা গেছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সড়ক আইনে দুটি গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এবং আহতদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ঘটনাস্থলে মারা যাওয়াদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এসব লাশ তাদের পরিবারের কছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন রংপুরের তারাগঞ্জের হারিয়ারকুঠি ঝাকুয়াপাড়ার মৃত মজিবর রহমানের পুত্র আনোয়ার হোসেন)৩৫), একই উপজেলার সয়ার কাজিপাড়ার মৃত কছিম উদ্দিনের পুত্র আনিছুর রহমান (৪৮) এবং নীলফামারীর সৈয়দপুরের কুন্দল পূর্বপাড়া এলাকার মকবুল হোসেনের পুত্র মহসিন হোসেন সাগর (৪২)। এছাড়াও হাসাপাতালে মৃত চারজনের মধ্যে ৩ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের কামারপুকুর এলাকার রায়হানের পুত্র জুয়েল (২৫), একই উপজেলার পানাপুকুর এলাকার নুর ইসলামের পুত্র আরিফ বিল্লাহ (৩০) এবং রংপুরের তারাগঞ্জের পলাশবাড়ীর মৃত বিনোদের পুত্র ধনঞ্জয়। অপরজনের পরিচয় এখনও মেলেনি।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার সময় বৃষ্টি পড়ছিল। মহাসড়ক ভেজা ছিল। আমরা মনে করছি যে কোন একটি বাসের ব্রেক ফেইল হয়েছিল। সে কারণে দুর্ঘটনা হতে পারে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

হাসপাতালের অর্থপ্যাডি´ বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মিনহাজুল আলম শাওন জানান, ওই রাতের মধ্যে এতো আহত রোগিদের ভর্তি করানো এবং রক্ত ও ওষুধ ম্যানেজ করা খুব টাফ হয়ে পড়েছিল। তবে, আমরা খুব ট্যাকনিক্যালি সব ম্যানেজ করেছি। এতোগুলো মানুষ একসাথে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে আগে কখনই এখানে ভর্তি হয় নি। তিনি জানান, হাসপাতালে ৪৭ জন রোগিকে আমরা ভর্তি করেছি। এরমধ্যে অর্থপ্যাডিক্স বিভাগে ১১ জন। সেখান থেকে ১ জন মারা গেছে। আরও প্রায় ১০/১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে আরও ৩ জন।

সংবাদটি শেয়ার করুন