ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেচে পল্লীবিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ

সেচে পল্লীবিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ
  • সারিয়াকান্দি উপজেলা সেচ কমিটির ক্ষোভ

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে পল্লীবিদ্যুৎ কর্র্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্র ছাড়াই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এ সংযোগ প্রদান করেছে। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, উপজেলা সেচ কমিটির ছাড়পত্র ছাড়াই সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর, কুতুবপুর, ভেলাবাড়ি ও চন্দনবাইশা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে অবৈধভাবে সেচে পল্লীবিদ্যুতের বেশ কিছু সংযোগ দেয়া হয়েছে। বিবিরপাড়া গ্রামের জাকিরুল, হাওড়াখালি গ্রামের লাল মিয়া, রাশিদুল, রেজাউল, জাকির হোসেনকে সেচ কমিটির ছাড়পত্র ছাড়াই সংযোগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সুতানারা, গজারিয়া, পাইকরতলী, দড়িপাড়া, কুতুবপুর সোলারতাইড়, মাছিরপাড়া, জোড়গাছা ও চরচন্দনবাইশা গ্রামে কয়েকজনকে ছাড়পত্র ছাড়াই সেচসংযোগ দেয়া হয়েছে।

সেচ কমিটি জানায়, পল্লীবিদ্যুতের সেচ সংযোগ নিতে উপজেলা সেচ কমিটির নিকট ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করলে উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব বিএডিসির একজন কর্মকর্তা আবেদনটির তদন্ত করে অনুমোদন করা যাবে কিনা সেচ কমিটির সভায় উপস্থাপন করেন। যে সব আবেদন নীতিমালার মধ্যে পড়ে সেসব আবেদনই শুধু অনুমোদন করে ছাড়পত্রের অনুমোদন করা হয়। গত ৩০ ডিসেম্বর/২০২১ তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতির সভাপতিত্বে ২০৮টি সেচ গ্রাহকের আবেদন নিয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় । নীতিমালার মধ্যে পড়ায় সেচ কমিটির সভায় ৮১টি গ্রাহকের আবেদন সেচ সংযোগের জন্য অনুমোদিত করে ছাড়পত্র দেয়া হয়। নীতিমালার মধ্যে না পড়ায় শতাধিক আবেদন অনুনোমোদিত রাখা হয়। তবে, পল্লীবিদ্যুতের ওয়ারিং পরিদর্শক সাদিকুল ইসলাম ইঞ্জিনিয়ার, এজিএম, ডিজিএম এর স্বাক্ষর নিয়ে গোপনে পল্লীবিদ্যুতের সেচ সংযোগ প্রদান করে।

এদিকে অবৈধ সেচসংযোগ প্রদানে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার এবং বিএডিসি বগুড়ার উপ-প্রকৌশলীর নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ছাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।

বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে চিন্তিত ছাড়পত্র ছাড়া সেচসংযোগ পাওয়া গ্রাহকরা। এ বিষয়ে হাওড়াখালি গ্রামের লাল মিয়া ও রাসেদুল বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের ডেকেছিলেন। অবৈধভাবে সেচ চালানোর জন্য আমরা তার কাছে ভূল স্বীকার করেছি।

এ বিষয়ে বগুড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ সারিয়াকান্দি জোনাল অফিসের ওয়ারিং পরিদর্শক সাদিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদকের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দিয়েছে। তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।

বগুড়া পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার আমজাদ হোসেন বলেন, এ নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএডিসি বগুড়ার উপ-প্রকৌশলী আসমল ইসলাম বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কার্যাক্রম চলমান রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন. অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন