- বিনিয়োগ ২ বিলিয়ন
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেলপথে যোগাযোগে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। ভারত দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগে আসছে। যদিও ব্রিটিশ আমল থেকে দুটি অঞ্চলেই রেলপথে যোগাযোগ ছিল, তবে ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে তা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের আগে দুই দেশের মধ্যে ৮টি ইন্টারচেঞ্জ সুবিধা ছিল। এর মধ্যে বর্তমানে বনাপোল-পেট্রোপোল, দর্শনা-গেদে, রোহনপুর-সিংবাধ, বিরাল-রাধিকারপুর ও চিলাহাটি-হলদিবাড়িহর পাঁচটি চালু রয়েছে। মালবাহী ট্রেন ছাড়াও বেশ কয়েক বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। বর্তমানে মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন ও মিতালী একপ্রেস চলাচল করছে।
গেল ৫৫ বছরের বিরতির পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে দুই দেশের মধ্যে যাত্রিবাহী রেল যোগাযোগ পুনরায় শুরু হয়। তৃতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেস চলতি বছরের ১ জুন থেকে পুনরায় চালু হয়। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে ট্রেন চলাচল পুনরায় চালু হওয়ায় বাংলাদেশ হয়ে পুরনো শিলিগুড়ি-শিয়ালদহ রুটও পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে ভারতীয় রেলওয়ে। প্রস্তাবিত ট্রানজিট সুবিধাটি ভ্রমণের সময় প্রায় ৩ ঘণ্টা কমিয়ে আনবে।
বর্তমানে ভারতীয় ট্রেনগুলোকে কলকাতার শিয়ালদহ থেকে শিলিগুড়ি পৌঁছাতে ৫৭৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। নতুন রুটে ভ্রমণ করলে ২০০ কিলোমিটারে নেমে আসবে। ১৯৬৫ সালের আগে শিলিগুড়ি থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো হলদিবাড়ির মধ্য দিয়ে যেত এবং কলকাতার পথে পূর্ব পাকিস্তানের চিলাহাটিতে প্রবেশ করত। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এই লাইনটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
আনন্দবাজার/শহক