মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী বাজার সংলগ্ন খালের ওপর কাঠের সেতুটি এখন যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতুটির এক পাশে চলাচলের অনেকাংশে পাটাতনের কাঠ উঠে যাওয়ায় মানুষ পারাপারে অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ১০ গ্রামের মানুষ নিত্য কাজকর্ম সারতে ও স্থানীয় স্কুল, ক্লিনিক, হাটবাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে জরার্জীণ এ কাঠের সেতুটি ব্যবহার করছেন। এতে করে ভাঙা পুলে দুর্ঘটনার শঙ্কা করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিবন্দী বাজারের পূর্ব পাশে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল হোসেন মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন খালের ওপর প্রায় ৩৫ ফুট দীর্ঘ কাঠের সেতুটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুলটির একদিকে পাটাতনের বেশকিছু কাঠ উঠে যাওয়ায় চলাচলের স্থান ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এলাকার বৃদ্ধ ও শিশু পথচারীর জন্য এ সেতু পারাপারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। এছাড়া সেতুটির পূর্ব দিকে বিবন্দী-পাঁচলদিয়া হয়ে লৌহজং উপজেলার কাজীপাড়ার সংযোগ সড়কটিও সংস্কারের নামে ৫/৬ বছরেও কাজ সম্পন্ন হয়ে উঠেনি। জরার্জীণ কাঠের সেতু ও বেহাল রাস্তার কারণে এ অঞ্চলের কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতের ক্ষেত্রে এবং অসুস্থ রোগী নিয়ে যাতায়াতে এ পথে মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানায়, কুকুটিয়া ইউনিয়নের পুর্ব অঞ্চলের ১১টি গ্রামে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের বসবাস। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও নানামুখী কাজকর্মে প্রতিনিয়ত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা কাঠের সেতু পারাপার হচ্ছেন। এ অবস্থায় দুর্ভোগ লাঘবে কাঠের সেতুটি সংস্কারের দাবী করছেন তারা। তারা আরো বলেন, বিবন্দী-পাঁচলদিয়া প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কাজ রহস্যজনক কারণে আজও সম্পন্ন হয়ে উঠেনি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিবন্দী মোল্লাবাড়ির পাশে খালের ওপর জরার্জীণ কাঠের সেতুটির বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাবের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি পুলটি সংস্কারের জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে পুলের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। বিবন্দী-পাঁচলদিয়া হয়ে কাজীপাড়ার রাস্তাটির বিষয়ে তিনি জানান, রাস্তার কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট জনদের (এলজিইডি) তাগিদ দেওয়া হয়েছে।