ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চা-শ্রমিকের মজুরি বাড়লো ৫০ টাকা

  • বৈঠকের যোগ দেন ১৩ বাগানমালিক
  • প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করবেন

টানা ১৯ দিন চা শ্রমিকদের আন্দোলন করার পর ৫০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে আগের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকার পরিবর্তে ১৭০ টাকায় দাঁড়ালো। গতকাল শনিবার চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি এ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

পূর্বঘোষণা অনুযায়ী গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার পরপরই গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৭টায়। ১৩ জন বাগানমালিক এ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আহমেদ কায়কাউস এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।

প্রশাসন থেকে শুরু করে চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা শ্রমিকদের কাজে যোগদান করতে নানা কৌশল ও বৈঠক করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ছাড়া কাজে যোগদান করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।

কায়কাউস বলেন, চা শ্রমিকদের আশা প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের পক্ষ হয়ে মালিকদের সঙ্গে কথা বলে মজুরি বাড়াবেন। সেটাই তিনি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আজ (রবিবার) থেকে সবাইকে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি শিগগিরই চা শ্রমিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করবেন।

এবার ভরা মৌসুমে মজুরি বৃদ্ধির টানা ১৯ দিনের শ্রমিক আন্দোলনের ফলে শত শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে চা-শিল্পে। টানা শ্রমিক আন্দোলনের প্রথম দিকে সব চা-বাগানে উত্তোলন করা কাঁচা চায়ের পাতা প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায় পচে ও শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া চা প্ল্যান্টেশন এলাকা থেকে কচি চা-পাতা তুলতে না পারায় সেগুলোও এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এ পাতা চায়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব নয়।

দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৮ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের ১৬৬ চা-বাগানের দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। সেদিন থেকে চার দিন পর্যন্ত ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এরপর গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোপুরি কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।

গত ১৯ আগস্ট রাতে মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার বিষয়ে একটি চুক্তি হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যান শ্রমিকরা। এর মধ্যে কয়েক দফা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও বিষয়টির সমাধান হয়নি। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে থাকা চা-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও বার্তায় মজুরি বাড়ানোর দাবি জানান শ্রমিকরা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন