ঢাকা | মঙ্গলবার
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে বৃষ্টির জন্য হাহাকার

চট্টগ্রামে বৃষ্টির জন্য হাহাকার
  • সাতকানিয়া বিশেষ দোয়া

শ্রাবণের শেষে ভাদ্রের মাঝামাঝিতেও অনাবৃষ্টি ও দাবদাহ। সর্বত্র টানা খরা। বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে চারদিকে। ফসলি জমি শুকিয়ে গেছে। ফলে আমন আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা গ্রামে বৃষ্টি চেয়ে ইস্তিসকার নামাজ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে রফিক সাহেবের  ব্রিকফিল্ড এর মাঠে এই নামাজ আদায় করেন আলেম উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। উপজেলার গারাংগিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সহ-সুপার মাওলানা আব্দুল মালেক এ বিশেষ নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইস্তিসকার এ নামাজে তিন শতাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শামছুদ্দীন,মাওলানা জাকারিয়া যুক্তি বাদী, পীরে কামেল গোলাম কিবরিয়া সহ বহু উলামায়ে কেরাম।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফলস উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ।

নামাজ শেষে উপজেলার বারদোনা ধাইমার পাড়ার  কৃষকরা বলেন, চাষবাস করে আমাদের পেট চলে। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষেত শুকিয়ে গেছে। বীজ করেছি, সেগুলো রোদের তাপে পুড়ে গেছে। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়।’

একই গ্রামের হাজি ফরিদুল আলম ও হাজি ইয়াকুব বলেন, প্রচণ্ড গরম। এ গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। বর্ষার এ মৌসুমে এমন গরম আগে কখনো দেখিনি। বৃষ্টি নেই বললেই চলে। মাঝেমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এতে ফসল ফলানো যাবে না। কৃষকরা খুব কষ্টে আছেন।

নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা আব্দুল মালেক বলেন,এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় হাহাকার চলছে। কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনসহ আনুগত্য প্রকাশে এই নামাজ আদায় ও দোয়া মোনাজাত করা হয়। আল্লাহ যেন রহমত নাজিল করেন, এটিই আমাদের উদ্দেশ্য।

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে এ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ২৮ হাজার ২৭৮ হেক্টর। কিন্তু টানা খরার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে কৃষকদের। দাবদাহে হাঁসফাঁস মানুষ।

সংবাদটি শেয়ার করুন