রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণে খুলছে আরেক দুয়ার

দক্ষিণে খুলছে আরেক দুয়ার
  • ৪ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হবে অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের কঁচা নদীর উপর বেকুটিয়া পয়েন্টে নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে সেতু নির্মান প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু।

প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঁচা নদীর ওপর বরিশাল-পিরোজপুর-খুলনা সড়কের বেকুটিয়া পয়েন্টে সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সেতুর আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। করোনা মহামারির মধ্যেও নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষে করে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘চায়না রেলওয়ে ১৭তম ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানী লিমিটেড’। সেতুটি নির্মাণ শেষে হলে গত ৭ আগস্ট চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র উপস্থিতিতে ঢাকাস্থ চীনা দুতাবাসের ইকনোমি মিনিষ্টার বাংলাদেশর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটি হস্থান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সেতুটি উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করেন। 

প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাসুদ মাহমুদ সুমন আরো জানান, প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুটির উভয় প্রান্তে ৪৯৫ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫শ’ মিটার। ৯টি স্প্যান ও ৮টি পিয়ার বিশিষ্ট  ১৩.৪০ মিটার প্রস্থ সেতুটির পিরোজপুর ও বরিশাল প্রান্তে ১ হাজার ৪৬৭ মিটার সংযোগ সড়কসহ পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন রাখতে আরও ২টি ছোট সেতু ও বক্স কালভার্ট নির্মিত হয়েছে। আর এ সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকি ২৪৪ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে।

আরও পড়ুনঃ  পাকা সড়কে ইটের সলিং

পিরোজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টির সভাপতি ও পৌর মেয়র  হাবিবুর রহমান মালেক জানান, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আরেকটি স্বপ্নের সেতু উদ্বোধন করছেন। এ সেতুটি উদ্বোধনের ফলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান ও ব্যবসায়ীদের অনেক উন্নতি সাধন হবে। এছাড়া মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে পায়রা সমুদ্র বন্দর পর্যন্ত সড়ক পথে আর কোনো বাধা রইলো না। সেতুটি উদ্বোধনের তারিখ ঘোষনার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন