- খননের ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি রাস্তার কাজ
উদ্বোধনের ৮ মাসেও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা রেলগেট থেকে আটাপুরের দিবাকরপুর রাস্তার পাকাকরণের কাজ শুরু না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এ রাস্তায় চলাচলকারি সাধারণ জনগণ। উদ্বোধনের পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাস্তাটি নির্মাণের জন্য মাটি খুড়ে বক্স করে রাখলেও দীর্ঘদিনেও আর কোন কাজ না করায় রাস্তায় তৈরি হয়েছে ছোট্ট ছোট্ট গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা আর হাটু পানি বেধে সৃস্টি হয় জলাশয়। ফলে স্কুল কলেজগামী ছাত্র/ছাত্রীসহ সাধারণ পথচারি রাস্তায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার কটুহারা গ্রামের নজরুল ও আকবর বলেন, দীর্ঘ ৮ মাস ধরে রাস্তাটি খুড়ে রাখার কারণে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা আর পানি জমিয়ে রাস্তায় চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে। সে কারণে আমরা আমাদের ধানসহ কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যেতে পারি না। বিকল্প রাস্তা না থাকার কারণে উল্টো দিকের বরণ ছেলোবেলো হয়ে ভালুকগাড়ি দিয়ে দিবাকরপুর গিয়ে ধান বিক্রয় হয়। এতে পরিবহনের খরচ বেশি গুণতে হচ্ছে।
ঘোড়াপা গ্রামের ভ্যান চালক মতিয়ার রহমান বলেন, আগে এ রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালানো যেত। এখন সেটিও আর যায় না। রাস্তা পাকা না হওয়াই ভালো ছিল। ১ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৬৪০ মিটার বাগজানা রেলগেট হতে আটাপুরের দিবাকরপুর রাস্তাটি নির্মাণের কাজ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাঈদ ট্রেডাস। জনগুরুপূর্ণ এ রাস্তাটির কাজ বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৬ গ্রামের মানুষদের।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক বলেন, ঠিকাদার রাস্তাটি খননের পর দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখার কারণে এলাকার লোকজন দূর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। রাস্তার কাজটি দ্রুত শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন।
এবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাঈদ ট্রেডাসের কর্ণধার সাঈদ হোসেন বলেন, অচিরেই কাজ শুরু করা হবে।
পাঁচবিবি উপজেলা প্রকৌশলী ওয়ালীউল্লাহ শেখ বলেন, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দেওয়া হয়েছে। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু হবে।