ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টানা ছুটিতে চাঙা পর্যটন

টানা ছুটিতে চাঙা পর্যটন

টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটা পর্যটকদের আগমনে মুখরিত। গত বৃহস্পতিবার জন্মাষ্টমীর ছুটি ও শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় পর্যটকরা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের টানে দেশের এই দুই বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছেন। ফলে এ দুই পর্যটনস্পট ঘিরে জমে উঠেছে হোটেল ও হকারদের ব্যবসা।

কুয়াকাটায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করলেও তা উপেক্ষা করে সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালিতে পড়েনি কোনো ভাটা। বরং দেখা যায়, হাজার হাজার পর্যটককে ঢেউয়ের সঙ্গে গা ভাসিয়ে দিয়ে নিজের ক্লান্তিকে ঝেড়ে ফেলতে। তবে আশেপাশের ব্যবসায়ী ও হকাররা বলছেন, এসব পদ্মা সেতুর ফসল। তারা বলছেন, আগে এখানে (কুয়াকাটায়) সিজনের সময় লোকজন বেশি আসতো এবং বাকি সময়টাতে খুব কম লোকজন আসতো। কিন্তু এখন পদ্মা সেতু হওয়ায় ছুটির দিনগুলোতে অনেক মানুষজন আসছে।

রুম খালি না থাকায় পর্যটকদের আবাসন সুবিধা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন হোটেল মালিকরা। হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ বলছে, টানা লম্বা ছুটিগুলোতে পর্যটকদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। অন্যান্য সময় আমরা কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।

অন্যদিকে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এসে বিনোদনপ্রেমীরা উৎসবে মেতেছেন এখানকার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। অনেকেই আবার সৈকতের নোনাজলে নেমে আত্মহারা। জলরাশি উপভোগ, ঘোড়ায় চড়ে ছবি তুলে ও সৈকতের প্রবেশদ্বার বালিয়াড়িতে ঘুরছেন পর্যটকরা।

পর্যটকের উপস্থিতিতে ব্যস্ততা বেড়েছে সৈকতের ঘোড়াওয়ালা, জেড স্কি চালক ও ফটোগ্রাফারদের। তারা বলছেন, টানা ছুটিতে পর্যটক বেশি আসায় আয়ও বেড়েছে তাদের। জেড স্কি চালকরা বলছেন, তাদের আয়ে বেড়েছে দ্বিগুন। তারা বলছেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিন প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় করলেও বৃহস্পতিবার থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা করে হচ্ছে।

পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন  লাখের বেশি মানুষ। ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক টহলসহ অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকার ঘটনা ঘটেনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন