ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ টাকা কেজি চাল

১৫ টাকা কেজি চাল
  • বিক্রি আগামী মাসে
  • বিভাগে ৭ লাখ ৭৬ হাজার পরিবার পাবে এ সুবিধা

জ্বালানী তেলের দাম বাড়াতে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। নিম্ন আয়ের মানুষ অস্বস্তিতে পড়েছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। সাধারণ মানুষের খরচের বোঝা কিছুটা লাঘব করার জন্য উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু হবে। মঙ্গলবার রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় এ তথ্য জানায়।

রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভায় জানানো হয় যে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ৭৬ হাজার জনকে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল দেয়া হবে। মাসে মাথাপিছু ৩০ কেজি করে চাল কিনতে পারবে।

রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ এনডিসি সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় জানানো হয় যে, ১৫ টাকা কেজি দরে চাল উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করতে ইতোমধ্যেই এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে এ চাল ভোক্তাদের মাঝে বিতরণের জন্য কঠোর মনিটরিং করা হবে। প্রতিটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে উপকারভোগীদের তথ্যের সঠিকতা যাচাই করা হবে।

সমন্বয় সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজশাহী বিভাগে কোভিড সংক্রমণ কিছুটা নিম্নমূখী হয়েছে। ডেঙ্গুতে এ বিভাগে ৮ জন আক্রান্ত হলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। মাঙ্কি পক্স সন্দেহে নাটোরের দুজন ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তারা মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত নয়।

চলতি মৌসুমে রাজশাহী বিভাগে ২ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এ পর্যন্ত ২ লাখ মেট্রিক টন চাল সংগৃহীত হয়েছে বলে খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে।

ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির অজুহাতে সিলিন্ডার গ্যাস সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে।

বগুড়া থেকে এ অঞ্চলে সিলিন্ডার গ্যাস সরবরাহ করা হয় বলে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গ্যাস বিক্রি নিশ্চিতে তিনি বগুড়া জেলা প্রশাসককে বিষয়টি দেখভালের নির্দেশ দেন। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে গ্যাস বিক্রির ক্ষেত্রে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন।

সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বিভাগে এমওপি সার সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। নানা হাত বদলের কারণে কৃষককে এ সার কিনতে অতিরিক্ত মূল্যও প্রদান করতে হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্ বলেন, সার সরবরাহ সঠিক রাখতে হবে এবং কৃষকের ন্যায্য মূল্যে সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য যে ডিলার যে ইউনিয়নের জন্য ডিলারশিপ পেয়েছে তাকে সেই ইউনিয়নেই সার বিক্রয় করতে হবে। রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধানগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন