ঢাকা | বুধবার
১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহিষের পঁচা মাংসসহ হোটেল ব্যবসায়ী আটক

মহিষের পঁচা মাংসসহ হোটেল ব্যবসায়ী আটক

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় হোটেল চোকদার নামের একটি হোটেল থেকে নষ্ট-পঁচা ও খাওয়ার অনুপযোগী ৫০ কেজি মহিষের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন।

জানা য্য়, উপজেলার পৌরসদরের হাইওয়ের পাশে অবস্থিত হোটেল চোকদার থেকে ৫০ কেজি নষ্ট মহিষের মাংসসহ ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন নামক এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকে এসব এলাকায়। অল্পদিনের ব্যবধানে একের পর এক হোটেল গড়ে উঠেছে পৌরসভার মহাসড়কের পাশে। পদ্মা সেতু দেখার পর দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ভাঙ্গার গোলচত্ত্বর দেখতে আসেন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত ভ্রমণ পিপাসুরা। মানুষের বাড়তি চাপ থাকায় রাতদিন হোটেলগুলো খোলা রাখা হয়। প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিন লক্ষাধিক টাকার বেঁচাকেনা হয়ে থাকে এ সব হোটেলে। কিন্তু হোটেলগুলোর মান একেবারেই নিম্নমানের। হোটেলগুলো বাহির থেকে পরিছন্ন মনে হলেও আগন্তুকদের তারা কি খাবার পরিবেশন করেন কি পরিমাণ পকেট কাটার পাশাপাশি জীবনকে কিভাবে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে এ কথা বলার অবকাশ রাখেনা। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকারীদের হাতে উদ্ধার করা মহিষের নষ্ট মাংস এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

স্থানীয়রা জানান, নষ্ট হয়ে যাওয়া মহিষের মাংস বিক্রি করার সময় মাংসের দুর্গন্ধ ছড়ালে জাহিদ হোসেনকে আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ওই ব্যক্তিকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজিম উদ্দিন বলেন, স্থানীয়রা নষ্ট হয়ে যাওয়া মাংসসহ জাহিদ হোসেনকে আটক করে আমাদেরকে খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং দেখি এক ব্যক্তি হোটেলে বিক্রির উদ্দেশ্যে নষ্ট হয়ে যাওয়া মাংস সহ এ হোটেলে আসেন। পরবর্তীতে তাকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন