নীলফামারীর ডিমলা সদরের বাজার এলাকায় ড্রেনের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের কাজ দেখে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করায় কাজ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে কাজ পরিদর্শনে আসেন নীলফামারী সওজ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী আরাফাত রিপন ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ইলিয়াস ফারুক।
নিম্নমানের কাজ হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তারা জানান, তদারকি প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপথ বিভাগকে না জানিয়ে উপরের (টপ) স্লাব ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার।সিডিউল অনুযায়ী ৫ ইন্ঞ্চি দুরত্বে রড বাঁধার নির্দেশনা না মেনে রড কম দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।সেই সাথে নির্মাণাধীন ড্রেনের প্রায় ২০ মিটার অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। এছাড়া কাজের মান দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান উপ সহকারী প্রকৌশলী আরাফাত রিপন।
স্থানীয়রা জানান, জমাট বাধা সিমেন্ট, নিম্নমানের ইটের খোয়া, পাথর,কাদার ওপর বটম স্লাপ(বেইজ) ঢালাই, জং ধরা রডের ব্যবহার, উপরের স্লাপ ও দেয়ালে সিডিউলের বাইরে ৫ ইঞ্চি দূরত্বের পরিবর্তে ১০ ইঞ্চি দূরত্বে রড বাঁধাসহ,পাথরের সঙ্গে বেশি পরিমাণে মাটি মিশিয়ে অপরিষ্কার ড্রেনের কাজ করা হচ্ছিল। কাজের মান একদম নিন্মমানের হওয়ায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেন। এতে কাজ বন্ধ করে দেয় কাজের দায়িত্বে থাকা লোকজন। এ ছাড়া ড্রেনের গভীরতা কম হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, ৮ টি রডের জায়গায় ৫টি রড দিয়ে পাথরের সঙ্গে আবর্জনাযুক্ত মাটি-বালু ব্যবহার করে ড্রেনের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছিল। এতে স্থানীয়রা বাঁধা দেন।
ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন বলেন, ঠিকাদার বারবার অভিযোগ করেও রডের পরিমাণ কম দিয়েছেন। বাধ্য আমার দোকানের সামনে নিজের টাকায় রড কিনে দিয়েছি ঠিকাদারকে। স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, নিম্নমানের খোয়া ও লোকাল পাথরের সঙ্গে মাটি ব্যবহার করে বিজয় চত্বরে সামনে ড্রেনের কাজ করা হয়েছে।
নীলফামারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায় , উপজেলার বাবুরহাট বাজারের বিজয় চত্বর হতে শুটিবারি মোড় ও টিএনটি মোড় পর্যন্ত (ডিমলা-রংপুর)সড়কের দুইপাশে ৪৯০ মিটার ড্রেন নির্মাণে ৭২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় ঢাকার ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম। তবে কাজটি করছেন রাকিবুল ইসলাম অনিক নামে এক ব্যক্তি।তিনি সাব ঠিকাদার হিসেবে নালা নির্মাণের এ কাজ করছেন। সাব ঠিকাদার রাকিবুল ইসলাম বলেন, মিস্ত্রির হিসেবের গরমিলে রড কম দেওয়া হয়েছে।কাজের খারাপ অংশ ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
নীলফামারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মন্জুরুল করিম বলেন, আমি ছুটিতে আছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।