ঢাকা | রবিবার
৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শামুক বাণিজ্যে বাড়তি আয়

শামুক বাণিজ্যে বাড়তি আয়

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে খাল-বিল, ডোবা ও জলাশয়ে শামুক কুড়িয়ে বিক্রির মাধ্যমে বাড়তি আয় হচ্ছে। বিলের এসব শামুক যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন মাছের খামার ও চিড়িংর ঘেরে। ৫০ কেজি ওজনের প্রতিবস্তা শামুক স্থানীয়ভাবে বিক্রি হচ্ছে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা করে। উপজেলার আলমপুর, লস্করপুর, শ্রীধরপুর ও বাড়ৈখালী এলাকায় প্রতিদিন শতশত বস্তা শামুক কেনাবেচা হচ্ছে। শামুক বিক্রি করে এলাকার নিম্নআয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মজীবি মানুষ রোজ হাজার টাকা কামাই করতে পারছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট ছোট কোষা নৌকায় করে বিল থেকে শামুক কুড়িয়ে আনা হচ্ছে। একেকজন দিনের কয়েক ঘণ্টায় ৩ থেকে ৪ বস্তা শামুক কুড়াতে পারছেন। লক্ষ্য করা যায়, হাঁসাড়া এলাকার আলমপুর এলাকায় সড়কের পাশে শামুক কেনাবেচা হচ্ছে। স্থানীয় পাইকাররা এসব শামুক সংগ্রহের পর বস্তাবন্দি করছেন।

মো. সালাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, তার আন্ডারে ১০ থেকে ১২ জন বিলে শামুক কুড়ান। প্রতিবস্তা শামুকের জন্য তাদেরকে দিতে হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ টাকা। প্রতিবস্তা শামুকের জন্য পাইকার তাকে ৪০ টাকা করে কমিশন দিচ্ছেন। গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ বস্তা শামুক কেনাবেচা করছেন তিনি। তার মত আরও অনেকেই আছেন বর্ষা মৌসুমে শামুক কেনাবেচা করছেন।

বাড়ৈখালী এলাকার পায়েল, হাসেম ও স্বপন জানান, এসব শামুক ট্রাকে করে খুলনা জেলার বিভিন্ন চিড়িংর ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করা হয়। ঘের মালিকরা এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে চিড়িংর খাদ্য তৈরী করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে এলাকায় তেমন কোনো কাজ না থাকায় শামুকের বাণিজ্য করছেন তারা। অপরদিকে বিনা পুঁজিতে এলাকার অনেকই আছেন সংসারের বাড়তি আয় উপার্জনের জন্য বিভিন্ন জলাশয়ে শামুক কুড়াচ্ছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন